Advertisement
২১ মে ২০২৪

থিমের ছোঁয়া প্রমীলা বাহিনীর পুজোয়

কেউ কলেজ ছাত্রী, কেউ কলেজের শিক্ষিকা। কেউ ব্যবসায়ী, কেউ বা আবার গৃহবধূ। দশভুজার আরাধনার মণ্ডপ, প্রতিমার সাজসজ্জা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন— শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ওঁরা।

পুজোর চাঁদা নিচ্ছেন মহিলারাই। —নিজস্ব চিত্র।

পুজোর চাঁদা নিচ্ছেন মহিলারাই। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৬ ০১:২৬
Share: Save:

কেউ কলেজ ছাত্রী, কেউ কলেজের শিক্ষিকা। কেউ ব্যবসায়ী, কেউ বা আবার গৃহবধূ। দশভুজার আরাধনার মণ্ডপ, প্রতিমার সাজসজ্জা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন— শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ওঁরা।

তমলুক শহরের রামসাগর জলাশয়ের ধারে হৃদজয়া-র দেবী আরাধনার আয়োজন করেন স্থানীয় মহিলারাই। এ বারই প্রথম থিমের ছোঁয়া লেগেছে চতুর্থ বছরে পা দেওয়া এই পুজোয়। খড়ের চাল দেওয়া গ্রামের মাটির ঘরের আদলে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। হাতে সময় কম থাকায় দ্রুতগতিতে চলছে মণ্ডপের কাজ।

শুধু কি আর মণ্ডপের কাজ, পুজোর ক’দিন রোজ সন্ধেয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হবে। সে জন্য নাচ,গান, নৃত্যনাট্যের মহড়াও চলছে জোরকদমে। পঞ্চমীর দিন পূজোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল। উদ্যোক্তাদের দাবি, ষষ্ঠীর দিন পুরুলিয়ার ছৌ নাচ-সহ শোভাযাত্রা, সন্ধেয় মণ্ডপ প্রাঙ্গণের মঞ্চে ছৌ শিল্পীদের অভিনীত মহিষাসুরমর্দিনী প্রদর্শন করা হবে। সপ্তমীর দিন পুজো কমিটির সদস্যাদের পরিবার নিয়ে নাচ, গান, আবৃত্তি, রবীন্দ্র নৃত্য-সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। অষ্টমীর দিন ক্যুইজ, নবমীতে ধুনুচি নাচ আর দশমীত সিঁদুর খেলা।

পুজো কমিটির সম্পাদিকা মিনতি ভুঁইয়া বলেন, ‘‘কারুকার্য করা মাটির সরা, হাঁড়ি-সহ নানা গৃহস্থালির সামগ্রী দিয়ে সাজানো হচ্ছে মণ্ডপের দেওয়াল। মণ্ডপের মধ্যে থাকছে কেরোসিনের লণ্ঠন ও হ্যারিকেন। আটপৌরে শাড়ি পরিহিত মা দুর্গারও গ্রাম্য গৃহবধূর বেশ।’’ পুজো কমিটির মোট সদস্যা সংখ্যা ৫৫। সভাপতি পদে রয়েছেন প্রাক্তন কাউন্সিলর কবিতা মিত্র।

কলেজ শিক্ষিকা ঋতুপর্ণা ধাড়া দে পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষা। ঋতুপর্ণাদেবী জানান, এ বছর পুজোর বাজেট ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। সদস্যাদের কাছ থেকে বাজেটের সিংহভাগ সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে বাজেট যাই হোক, সদস্যাদের সকলে যে ভাবে পুজোর আয়োজন করতে এগিয়ে আসেন, কাজ এগিয়ে যায়।

হৃদজয়া-র সম্পাদিকা মিনতিদেবী বলেন, ‘‘পুজোর আয়োজনের প্রস্তুতির সাথে এখন নিয়ম করে প্রতিদিন সন্ধেয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মহড়া চলছে।’’ তিনি আরও জানান, পুজোর সময় মণ্ডপের কাছেই রান্নার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রান্না করার জন্য রাঁধুনি আনার ব্যবস্থাও হয়েছে। পুজোর ক’দিন যৌথ পরিবারের মতো সবাই মিলে একসাথে খাওয়া হবে। ওই ক’দিন পুজোয় আনন্দ করতে আমাদের সকলের রান্না থেকে ছুটি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Durgapuja Women committee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE