Advertisement
১৬ মে ২০২৪

খুনের চেষ্টার মামলায় বেকসুর খালাস সিপিএম নেতা-সহ ৮ জন

দলেরই দুই কর্মীকে খুনের চেষ্টার মামলায় অরণ্যশহরের সিপিএম নেতা অসীম নন্দী-সহ ৮ অভিযুক্তকে বুধবার বেকসুর খালাস দিল ঝাড়গ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত। অসীমবাবু এখন সিপিএমের ঝাড়গ্রাম শহর জোনাল কমিটির সদস্য। সরকারি কৌঁসুলি প্রশান্ত রায় বলেন, “মামলার ৬ জন সাক্ষীর মধ্যে অভিযোগকারী-সহ তিন জন সাক্ষী আদালতে বিরূপ সাক্ষ্য দেওয়ায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করা যায় নি। সে জন্যই অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।”

আদালত প্রাঙ্গণে সিপিএম নেতা অসীম নন্দী-সহ বেকসুর খালাস প্রাপ্তরা। বুধবার।

আদালত প্রাঙ্গণে সিপিএম নেতা অসীম নন্দী-সহ বেকসুর খালাস প্রাপ্তরা। বুধবার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৫ ০২:২৪
Share: Save:

দলেরই দুই কর্মীকে খুনের চেষ্টার মামলায় অরণ্যশহরের সিপিএম নেতা অসীম নন্দী-সহ ৮ অভিযুক্তকে বুধবার বেকসুর খালাস দিল ঝাড়গ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত। অসীমবাবু এখন সিপিএমের ঝাড়গ্রাম শহর জোনাল কমিটির সদস্য।

সরকারি কৌঁসুলি প্রশান্ত রায় বলেন, “মামলার ৬ জন সাক্ষীর মধ্যে অভিযোগকারী-সহ তিন জন সাক্ষী আদালতে বিরূপ সাক্ষ্য দেওয়ায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করা যায় নি। সে জন্যই অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।”

আদালত সূত্রের খবর, ১৯৯৫ সালের ৭ অক্টোবর ঝাড়গ্রাম শহরের বাছুরডোবায় সিটু অফিসে বসে থাকা শঙ্কর সমাজদার ও বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়ের উপর লাঠি, লোহার রড ও টাঙি নিয়ে চড়াও হন ৯ জন। হামলায় গুরুতর জখম হন শঙ্করবাবু ও বিশ্বনাথবাবু। ওই দিনই ঝাড়গ্রাম থানায় অসীমবাবু-সহ ৯ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন শঙ্করবাবু। মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বেআইনি জনতায় সামিল হয়ে খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। তিন জন অভিযুক্ত গ্রেফতার হন। পরে অবশ্য তাঁরা জামিনে ছাড়া পেয়ে যান। অসীমবাবু-সহ বাকি অভিযুক্তরা জেলা আদালত থেকে আগাম জামিন পান। ১৯৯৬ সালের ২৮ জুলাই ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ইতিমধ্যে বাদীপক্ষের বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু হয়। পরে এক অভিযুক্তেরও মৃত্যু হয়। এরপর এসিজেএম আদালতে মামলাটি দায়রা সোপর্দ হওয়ার পরে ২০১৩ সালের অগস্টে বিচারের জন্য ঝাড়গ্রাম দায়রা আদালতে মামলাটি পাঠানো হয়। ঝাড়গ্রাম দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ৬ জন সাক্ষীর মধ্যে খোদ অভিযোগকারী শঙ্কর সমাজদার, সিটু নেতা শিবনাথ গুহ এবং এবিটিএ-এর প্রাক্তন নেতা অশোক মণ্ডল আদালতে বিরূপ সাক্ষ্য দেওয়ায় তাঁদের বিরূপ সাক্ষী ঘোষণা করেন বিচারক। বুধবার ঝাড়গ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক পার্থসারথি চক্রবর্তী উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে ৮ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেন। এ দিন রায় ঘোষণার পর আদালত থেকে বেরিয়ে অসীমবাবু বলেন, “আমি ওই ঘটনায় যুক্ত ছিলাম না, আদালতের রায়ে তা প্রমাণ হয়ে গেল।”

প্রায় কুড়ি বছর আগে ওই ঘটনার ৯ অভিযুক্তের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। অসীমবাবু ছাড়াও যাঁরা এ দিন অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস পেলেন তাঁরা হলেন গৌতম রানা, রণপতি পাল, মহাবীর বাগদি, নন্দলাল সিংহ, নন্দন চক্রবর্তী, শুভেন্দু ঘোষাল ও রতন ঘোষ। ঘটনার সময় অভিযুক্তরা সিপিএমের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন তাঁদের অনেকেই সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছেন। রতনবাবু তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE