E-Paper

আবার সেই হাতির হানা বীজ খামারে

জানা গিয়েছে, সোমবার বীজখামারের কর্মীদের চিৎকারে হাতিটি পালিয়ে গিয়েছিল। তারপরে দু'দিন ধরে আশেপাশের এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে ছিল সে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:১৩
বৃহস্পতিবার ভোরে গোয়ালতোড়ের দুর্গাবাঁধ সরকারি বীজখামারের গুদাম ঘরে ঢোকার চেষ্টা করছে হাতিটি।

বৃহস্পতিবার ভোরে গোয়ালতোড়ের দুর্গাবাঁধ সরকারি বীজখামারের গুদাম ঘরে ঢোকার চেষ্টা করছে হাতিটি। —নিজস্ব চিত্র।

দু’দিনের বিরতি। ফের হাতি হানা দিল সরকারি বীজখামারে।

গোয়ালতোড়ের মাহালিসাই রেঞ্জের বনাঞ্চলে কিছুদিন ধরেই ঘোরাঘুরি করছে একটি দলছুট হাতি। সোমবার ভোরেও সরকারি বীজখামারের গুদাম ঘরে হানা দিয়েছিল সে। সেদিন দু’টি শাটার ভেঙে পালিয়েছিল।বৃহস্পতিবার ভোরে সেই ভাঙা শাটার দিয়েই ভিতরে ঢোকে সে। ধান, তিলের বীজ তছনছ করে। বীজ রাখার একটি গুদাম ঘর লণ্ডভণ্ড করে।

ওই বীজখামারের জমিতেই একসময়ে শিল্পতালুক গড়ার জন্য উদ্যোগী হয়েছিল রাজ্য সরকার। এখানে সেখানে একটি বিদেশি সংস্থা সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প করছে। সেই প্রকল্প এলাকা থেকে কিছুটা দূরে বীজখামারের জমিতে আছে দু’টি সরকারি গুদাম ঘর। গত বছর একটি গুদাম ঘরের দেওয়াল ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছিল একটি দলছুট হাতি। এখন সেই গুদাম ঘরটি ব্যবহার হয় না বললেই চলে। এবার যে গুদাম ঘরটি চালু আছে সেখানে পর পর দু’বার হানা দিল হাতি।

জানা গিয়েছে, সোমবার বীজখামারের কর্মীদের চিৎকারে হাতিটি পালিয়ে গিয়েছিল। তারপরে দু'দিন ধরে আশেপাশের এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে ছিল সে। খামারের স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মীদের পাহারা থাকায় গুদাম ঘরের দিকে আসতে পারেনি। বুধবার হাতিটি বীজখামার এলাকা ছেড়ে কিছুটা দূরে অন্য একটি জঙ্গলে চলে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার ভোরে খাবারের সন্ধানে আবার দুর্গাবাঁধ সরকারি বীজখামারে ফিরে আসে সে। এদিন ভোরেও গুদামে হাতি ঢোকার শব্দ পেয়ে খামারের কর্মীরা জড়ো হয়ে চিৎকার করেন। তারপরেই পালিয়ে যায় ওই দাঁতালটি।

বীজখামার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, হাতিটি দুই বস্তা অর্থাৎ প্রায় দেড় কুইন্টাল ধানের বীজ খেয়ে ও ছড়িয়ে ছিটিয়ে নষ্ট করেছে। প্রায় ২ বস্তা তিলের বীজও তছনছ করেছে। ওই বীজখামারের সুপার সামসুদ তাবেয়াত খান বলেন, "গুদাম ঘরের ভাঙা শাটার দিয়ে একটি হাতি ঢুকে ধান ও তিল তছনছ করেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।" বন দফতরের রূপনারায়ণ ডিভিশনের এক আধিকারিক বলেন, "দলছুট হাতিটিকে গোয়ালতোড়ের ওই এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।"

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Goaltore

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy