দলমার দাঁতালদের তাণ্ডবে দাঁড়ি পড়ছে না কিছুতেই। ফলে ক্ষোভ ছড়াচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গল ঘেঁষা গ্রামগুলিতে। হাতির অত্যাচার রুখতে ক’দিন আগে গড়বেতার আঁধারনয়নে গরুর গাড়ি আটকে রেখে পথ অবরোধ করেছিলেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার ফের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন হাতির অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী।
মঙ্গলবার সকালে গড়বেতার বওড়াশোলে ঘাটাল-চন্দ্রকোনা রোড সড়ক আটকে শুরু হয় বিক্ষোভ। একই সঙ্গে চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়া বিট অফিসেও বিক্ষোভ দেখান ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা। খবর পেয়ে পুলিশ ও বন দফতরের লোকজন ঘটনাস্থলে যায়। ঘন্টা তিনেক পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের বক্তব্য, “হাতির তাণ্ডব বন্ধ না হলে আর পথ অবরোধ নয়। অনশন শুরু করব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিষয়টি জানানো হবে।”
বন দফতর সূত্রে খবর, দিন কয়েক ধরেই ৭৫-৮০টি হাতির পাল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গড়বেতা ও চন্দ্রকোনার বিভিন্ন গ্রামে। সন্ধ্যার পরই জঙ্গল থেকে দলমার দাঁতালেরা লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। হাতিগুলি এখন দু’ভাগে ভাগ হয়ে ঘোরাফেরা করছে। স্থানীয় ঘাটমুড়া জঙ্গলে ৪৫টি হাতি এবং ৩৫ টি হাতির একটি পাল ধামকুড়া জঙ্গলে রয়েছে। সোমবার রাতে ওই দুই পাল জোট বেঁধে গড়বেতা ও চন্দ্রকোনার বিভিন্ন গ্রামে তাণ্ডব চালায়।
ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের কথায়, ‘‘টানা ক’দিন ধরে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। হাতির পালকে না সরানো পযর্ন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।” পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতে পেরেই মঙ্গলবার বন দফতরের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন। দফতরের ডিএফও (রূপনারায়ণ) রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “আমরা চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখিনি। কিন্তু হাতির পালকে জঙ্গলে সরানোর সময় গ্রামের বাসিন্দারা বাধা দিচ্ছে। তাই দু’টি পালকে আমরা সরাতে পারিনি।” দফতরের আর এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘আমাদের লক্ষ্য হাতিগুলিকে গড়বেতার মাগুরাশোল জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া। পরে ওখান থেকে লালগড়ে ঢুকিয়ে দলমায় ফেরত পাঠানো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy