Advertisement
E-Paper

নজরে ভোট, কর্মী সম্মেলনে সুব্রত বক্সী

জেলার বিভিন্ন ব্লকে দলের গোষ্ঠী কোন্দল নতুন নয়। নেতা-কর্মীদের মধ্যে আকচাআকচি রোজকার ঘটনা। পরিস্থিতি এমন চললে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে বাধ্য।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:৪৭

জেলার বিভিন্ন ব্লকে দলের গোষ্ঠী কোন্দল নতুন নয়। নেতা-কর্মীদের মধ্যে আকচাআকচি রোজকার ঘটনা। পরিস্থিতি এমন চললে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে বাধ্য। এই অবস্থায় জেলায় দলের সম্মেলন ডেকে কর্মীদের কড়া বার্তা দিতে চলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে খবর, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি মেদিনীপুরের এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। মেদিনীপুর কলেজ মাঠের এই সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে প্রায় ৩০ হাজার কর্মী যোগ দেবেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।

ইতিমধ্যে সম্মেলনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দিন কয়েক আগে মেদিনীপুরের ফেডারেশন হলে বৈঠকে দলের জেলা নেতারা সম্মেলনের প্রস্তুতির বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখেন। তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি মেদিনীপুরে দলের কর্মী সম্মেলনে বিভিন্ন ব্লকের কর্মীরা থাকবেন। সুব্রত বক্সীও আসবেন।” কংগ্রেস-সিপিএম কোণঠাসা হলেও জেলার কিছু এলাকায় মাথা তুলছে বিজেপি।। তাই কি পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য আগাম ঘর গোছানো? অজিতবাবুর জবাব, “বিজেপিকে নিয়ে আমরা ভাবছিই না। একটা রাজনৈতিক দল কর্মী সম্মেলন করবে না!” তৃণমূলের একাংশ নেতৃত্ব অবশ্য মানছেন, কিছু এলাকায় দলের ভিত ফের নড়বড়ে হচ্ছে। যার সুযোগ নিচ্ছে বিরোধীরা। দলের একাংশের আবার যুক্তি, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফল আশানুরূপ না হলে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তার প্রভাব পড়তে পারে। তাই পঞ্চায়েতের আগে দলের ফাঁক-ফোঁকর মেরামত করতেই হবে।

জঙ্গলমহলের এই জেলায় প্রায় সর্বত্র শাসক দলের কম-বেশি গোষ্ঠী কোন্দল। তার জেরে হামেশাই সংঘর্ষ বাধে। দলের এক সূত্রের দাবি, আপাতত যাবতীয় মতবিরোধের ঊর্ধ্বে উঠে সকলকে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিতেই কর্মী সম্মেলন হতে চলেছে। তৃণমূলের এক জেলা নেতার কথায়, “আগামী কয়েক মাস ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। নীচুতলা পর্যন্ত এই বার্তাটা পৌঁছে দেওয়া খুব জরুরি।” ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের ৬৭টি আসনের মধ্যে ৬৪টিই পেয়েছিল তৃণমূল। মাত্র ৩টি ছিল বিরোধীদের দখলে। পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরেও একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল ঘাসফুলের। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনেও পশ্চিম মেদিনীপুরকে বিরোধীশূন্য করাই যে প্রধান লক্ষ্য, তাও বুঝিয়ে দিচ্ছেন শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূলের এক জেলা নেতার কথায়, “দল এ বার বিপুল জয়ই পাবে।”

Political workers conference Subrata Bakshi TMC Election
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy