সোনারতরী: যেখানে ঠিক হয়েছে জায়গা। নিজস্ব চিত্র
রাজ্য সরকার ন্যায্য মূল্যে ওষুধ পাওয়ার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে ‘ফেয়ার প্রাইস’-এর দোকান চালু করেছেন। একই পথে এ বার হলদিয়া পুর এলাকায় চালু হতে চলেছে ন্যায্য মূল্যের জিনিসপত্রের দোকান। তবে তা হবে সমবায়ের মাধ্যমে। হলদিয়া পুর এলাকার তিনটি জনবহুল জায়গায় হাজার বর্গফুট জায়াগায় ওই তিনটি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের সমবায় হবে। সমবায়গুলির নাম দেওয়া হয়েছে ‘রৌদ্র-বৃষ্টি’। রাজ্যে প্রথম হলদিয়াতেই এই ধরনের সমবায় তৈরি হচ্ছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।
হলদিয়ার মাখনবাবুর বাজার, হলদিয়ার সিটি সেন্টারের সোনারতরী ও দুর্গাচকের নিউমার্কেটে তিনটি জায়গা এর জন্য নির্বাচন করা হয়েছে বলে হলদিয়া পুরসভা সূত্রে খবর। হলদিয়া পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার জগৎবন্ধু দাশ বলেন, ‘‘আমরা রাজ্য নগর উন্নয়ন সংস্থার (সুডা) ডিরেক্টরের কাছ থেকে চিঠি পেয়েছি। হলদিয়া পুর এলাকায় তিনটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ফেয়ারপ্রাইস রিটেল আউটলেট তৈরি হবে। সেখানে রাজ্য সরকারের এসেনশিয়াল কমোডিটি সাপ্লাই কর্পোরেশন লিমিটেডের তরফে জিনিস সরবরাহ করা হবে।’’
প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল ইউনিয়ন আরবান লাইভলিহুড মিশন-এর উদ্যোগে কেন্দ্রীয় প্রকল্প সিএলসি (সিটি লাইভলিহুড সেন্টার) ২০১৬ সালের ১৫ অগস্ট হলদিয়া পুরসভায় উদ্বোধন হয়। এখানে মানুষের নানা প্রয়োজন মেটাতে সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে। যেখানে টোল ফ্রি নাম্বারে ফোন করে টিভি সারানোর কারিগর থেকে চিকিৎসক, অ্যাম্বুল্যান্স, নার্সিংহোম, রেলের টিকিট ইত্যাদি নানা বিষয়ে সহায়তা করা হয়। কলম্বাস নামে একটি সংস্থা এই সিএলসি পরিচালনার দায়িত্বে। তারাই সমবায় পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে। সংস্থার কর্ণধার প্রেম স্বরস্বতী জানান, তাঁরা তিনটি সমবায় পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন। রাজ্য নগর উন্নয়ন সংস্থা (সুডা) থেকে কয়েক মাস আগেই এই সমবায় পরিচালনার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এখান থেকে সঠিক দামে জিনিসপত্র কিনতে পারবেন সাধারণ মানুষ। ফেয়ার প্রাইস ওষুধ দোকানের মতো এগুলিও জনপ্রিয় হবে বলে সংস্থার অভিমত। সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে, রৌদ্র-বৃষ্টিতে মঞ্জুষা, সুফল বাংলা, তন্তুজ, মৎস্য দফরের সামগ্রীও থাকবে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যতিক্রমী কাজ করছেন বা পণ্য উৎপাদন করছেন এমন স্ব-সহায়ক দলের উৎপাদিত পণ্যও এখানে রাখার কথা ভাবা হচ্ছে।
তিনটি সমবায়ের জন্যই যাবতীয় পরিকাঠামো গড়ে দিতে হলদিয়া পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নগর উন্নয়ন সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy