আলুর পর এ বার লঙ্কা। ফলন বেশি হয়েও স্বস্তিতে নেই লঙ্কা চাষিরা।
জেলা কৃষি বিপণন দফতরের জেলা আধিকারিক উত্তম হেমব্রম বললেন, “চাহিদার তুলনায় ফলন বেশি হওয়ায় এই অবস্থা।” পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ বলেন, “লঙ্কার দাম নিয়ে আমরাও উদ্বেগে। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনার চেষ্টা করছি।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা উদ্যান পালন দফতর সূত্রে খবর, লঙ্কাচাষ যথেষ্ট লাভজনক। বছর তিন-চারেক ধরে জেলার বিভিন্ন ব্লকে লঙ্কা চাষ শুরু হয়েছে। চলতি মরসুমে জেলায় প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে লঙ্কা চাষ হয়েছে। চাষিদের অভিযোগ, “সরকার বিকল্প চাষে উৎসাহ দিচ্ছে। তাই আলুর বদলে লঙ্কা চাষ করেছিলাম। অথচ দাম নেই।” জানা গিয়েছে, গড়বেতা, ঘাটাল, দাসপুর, আনন্দপুর, কেশপুর, সবং-সহ বিভিন্ন ব্লকে লঙ্কা চাষ ভাল হয়েছে।
দাসপুরের টালিভাটার লঙ্কা ব্যবসায়ী সঞ্জয় সামন্তের কথায়, “এখানে মূলত ঝাঁটি লঙ্কার চাষ বেশি হয়। গত বছর ফলন ভাল হয়েছিল। আমরা চাষিদের কাছ থেকে দু’আড়াই হাজার টাকা কুইন্ট্যাল দরে কিনেছিলাম। ফলে চাষিদের লাভ হয়েছিল। এ বার চাহিদা না থাকায় দু’শো থেকে তিনশো টাকায় লঙ্কা কিনে আমরা বিক্রি করতে পারছি না।”
এ বার আলু চাষের বদলে লঙ্কা চাষ করেছিলেন ঘাটালের চকমান্দারিয়া গঙ্গারাম বাগ। তাঁর কথায়, ‘‘গত বছর আলুর পাশাপাশি এক বিঘা জমিতে লঙ্কা চাষ করেছিলাম। হাজার তিরিশেক টাকা লাভ হয়েছিল। এ বার বেশি লাভের আশায় আলু চাষ না করে দেড় বিঘা জমিতেই লঙ্কা চাষ করেছিলাম। ফলন ভাল হয়েছে। কিন্তু দাম নেই।’