Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
wildlife

জেলায় রেকর্ড সংখ্যক হাতি, আশঙ্কায় চাষিরা 

বন দফতর সূত্রে খবর, রবিবার ভোর রাতে কলাইকুন্ডা রেঞ্জের দিক থেকে লোধাশুলি রেঞ্জের নহরিয়া, সাঁওতালডিহি হয়ে ঢুকে পড়ে দাঁতালেরা।

জাতীয় সড়ক পারাপার করছে হাতির দল। নিজস্ব চিত্র

জাতীয় সড়ক পারাপার করছে হাতির দল। নিজস্ব চিত্র ranjan pal

শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২৩ ০৭:৩৭
Share: Save:

জেলায় ঢুকল আরও ১১০টি হাতির দল। সব মিলিয়ে রবিবার ঝাড়গ্রাম ডিভিশনে ১৭০টি হাতি ছিল। যা গত এক দশকের ইতিহাসে নজিরবিহীন! প্রতিটি দলেই শাবক থাকায় হাতিদের সরাতে নাজেহাল হতে হচ্ছে বন দফতরকে। অন্য দিকে, ধান কাটার মরসুমে জেলায় হাতি ঢুকে পড়ায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও বাড়ছে।

বন দফতর সূত্রে খবর, রবিবার ভোর রাতে কলাইকুন্ডা রেঞ্জের দিক থেকে লোধাশুলি রেঞ্জের নহরিয়া, সাঁওতালডিহি হয়ে ঢুকে পড়ে দাঁতালেরা। তারপর লোধাশুলি রেঞ্জ অফিসের পিছনের দিক দিয়ে গিয়ে মোহনপুরের জঙ্গলে ঢোকে। সকালে মোহনপুর বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া ৪৯ নম্বর জাতীয় সড়ক পার করে নেকড়াবিন্ধা, সিমলির জঙ্গলে যায় হাতির দলটি। দু’টি দলে মোট ১১০টি হাতি ছিল। একটি দলে ছিল ৭০টি হাতি, অন্যটিতে ছিল ৪০টি। হাতির দলগুলি এ দিন দিনভর ছিল কাজুর জঙ্গলে।

এ ছাড়াও ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া জামবনি রেঞ্জের সঙ্কলবনি জঙ্গলে ৪৫টি হাতি, বাঁকড়া এলাকায় ১২টি হাতি রয়েছে। হাতির দলগুলি ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া এলাকায় কয়েকদিন ধরেই ঘোরাফেরা করছে। আবার ঝাড়গ্রাম রেঞ্জের শালবনি এলাকায় তিনটি হাতি রয়েছে। ধান কাটার মরসুমে এলাকায় হাতির দল ঢুকে পড়ায় চিন্তায় বাসিন্দারা। একদিকে পাকা ধান অন্য দিকে, আম ও কাজু বাগান দুই রয়েছে লোধাশুলি ও ঝাড়গ্রাম রেঞ্জে। খাবারের টানে হাতির দল এলাকা না ছাড়ার আশঙ্কাই প্রবল। আবার প্রতিটি হাতির দলে শাবকও রয়েছে। ঝাড়গ্রামের বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘গত এক দশকের বেশি সময়ে ঝাড়গ্রাম ডিভিশনে একদিনে ১৭০টি হাতি কোনওদিনই ছিল না। অতীতের সমস্ত রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে এ দিন।’’

এ দিকে হাতির দলকে জঙ্গলে আটকে রাখতে চেষ্টা করছে বন দফতর। সম্প্রতি ঝাড়গ্রামে ডিভিশনে হাতির তাণ্ডবের জেরে ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। তবুও অনেকে ক্ষতিপূরণ পাননি বলে অভিযোগ।

বাসিন্দাদের দাবি, এলাকায় রেসিডেন্সিয়াল দু’-তিনটি হাতি থাকলে ক্ষয়ক্ষতি হয়। কিন্তু দল বিপুল দল হাতি থাকলে ক্ষয়ক্ষতির আরও বাড়বে। ঝাড়গ্রামের এডিএফও পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘চেষ্টা করছি হাতির গতিবিধি অনুযায়ী জঙ্গলে নজর রাখা। এত হাতি থাকলে ক্ষয়ক্ষতি আটকানো খুবই মুশকিল। ক্ষয়ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

wildlife Elephant Herd Jhargram,
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE