—প্রতীকী ছবি।
ফের এক ছাত্রের হাতে কাটা দাগ দেখে শোরগোল পড়ল স্কুলে। দানা বাঁধল ‘ব্লু হোয়েল’ আতঙ্ক। খড়্গপুর, গড়বেতার পরে এ বার বেলদায়।
বেলদার স্কুলে অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রের হাতে কাটা দাগ দেখার পরে তার সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেছেন প্রধান শিক্ষক। তাঁর অবশ্য দাবি, ছেলেটি ব্লু হোয়েল জাতীয় কোনও গেম খেলছিল না। পরিচিত একজনের কাছে গেমের গল্প শুনেছিল সে।
তারপরই ব্লেড দিয়ে হাত চিরে এই কাণ্ড ঘটায়। ছেলেটির মোবাইলও নেই। ফলে, অনলাইন গেম খেলার সুযোগ নেই। প্রধান শিক্ষকের কথায়, “শুক্রবার ও স্কুলে এসেছিল। যথারীতি ক্লাস করেছে।”
বৃহস্পতিবার কয়েকজন সহপাঠী দেখে, ওই ছাত্রের হাতে কাটা দাগ। তারাই শিক্ষকদের বিষয়টি জানায়। খবর যায় প্রধান শিক্ষকের কাছে। এরপর ওই ছাত্রের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান শিক্ষক। ওই ছাত্রের বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রি। এ দিন ছাত্রটি জানায়, পরিচিত একজনের কাছে সে অনলাইন গেমের গল্প শুনেছিল। জেনেছিল, ওই গেম খেললে না কি ব্লেড দিয়ে হাত কাটতে হয়। তারপর খেলার ছলেই ব্লেড দিয়ে হাত চিরেছে সে।
অনলাইন সুইসাইড গেম ‘ব্লু হোয়েল’ খেলতে গিয়ে কিছু দিন আগে প্রাণ গিয়েছে মুম্বই শহরতলির এক কিশোরের।
বাড়ির ছ’তলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছিল সে। তারপর মহারাষ্ট্রের শোলাপুর এবং মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে দুই কিশোর এই গেম খেলছে বলে জানা যায়। তবে তাদের বাঁচানো গিয়েছে।
নীল তিমির ছায়া পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরেও। দিন কয়েক আগে গড়বেতায় একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র হাত চিরে ‘ব্লু হোয়েল’ গেমের কোড ‘এফ ৫৭’ লিখেছিল। ছেলেটি দাবি করে, তদন্তে নেমে অবশ্য পুলিশ দাবি করে, ছেলেটি ওই মারণ গেম খেলেনি। গেম খেলার অভিনয় করেছে।
এ সব করে সে সাড়া ফেলতে চেয়েছিল। সপ্তাহ খানেক আগে খড়্গপুরের এক স্কুলের সপ্তম শ্রেণির তিন ছাত্রীর হাতে কাটা চিহ্ন দেখেও শোরগোল পড়ে। পরে পুলিশ অবশ্য জানিয়ে দেয়, এই ঘটনার সঙ্গে ওই গেমের কোনও সম্পর্ক নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy