Advertisement
১৯ মে ২০২৪

নর্দমায় নোংরা ফেললেই জরিমানা

উদ্দেশ্য অরণ্যশহরকে পরিচ্ছন্ন রাখা। আর তাই এ বার জরিমানা আদায়ের পথে হাঁটতে চলেছে ঝাড়গ্রাম পুরসভা। নর্দমায় কিংবা রাস্তার ধারে জঞ্জাল ফেলার সময় বমাল ধরা পড়লে দিতে হবে জরিমানা।

কাজে: নিজে দাঁড়িয়ে নিকাশি নালা পরিষ্কার করাচ্ছেন পুরপ্রধান (মাঝে)। নিজস্ব চিত্র

কাজে: নিজে দাঁড়িয়ে নিকাশি নালা পরিষ্কার করাচ্ছেন পুরপ্রধান (মাঝে)। নিজস্ব চিত্র

কিংশুক গুপ্ত
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৭ ০২:১৬
Share: Save:

উদ্দেশ্য অরণ্যশহরকে পরিচ্ছন্ন রাখা। আর তাই এ বার জরিমানা আদায়ের পথে হাঁটতে চলেছে ঝাড়গ্রাম পুরসভা। নর্দমায় কিংবা রাস্তার ধারে জঞ্জাল ফেলার সময় বমাল ধরা পড়লে দিতে হবে জরিমানা। অবশ্য জরিমানাতেই শেষ নয়। এলাকার ভ্যাট-ডাস্টবিন নিয়মিত পরিষ্কার না হলে পুরপ্রধানের কাছে জবাবদিহি করতে হবে পুরসভার সাফাইয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় কর্মীকেও।

ঝাড়গ্রাম শহরের বেশ কিছু বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী রাস্তার ধারে নর্দমায় নিয়মিত জঞ্জাল ফেলেন বলে অভিযোগ। এর ফলে, বুজে যায় নিকাশি নালা। সামান্য বৃষ্টি হলে সুষ্ঠ নিকাশির অভাবে একাধিক রাস্তায় উপচে পড়ে নোংরা জল।

সম্প্রতি নিজের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড পরিদর্শন করে ক্ষুব্ধ পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেব। তাঁর ওয়ার্ডেই রাস্তার ধারে যত্রতত্র আবর্জনা পড়ে থাকায় সাফাই কর্মীদের কাজকর্ম নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। বিভিন্ন জায়গায় নিকাশি নালায় জঞ্জাল ফেলায় যেমন দূষণ ছড়াচ্ছে, তেমনই বৃষ্টি হলেই নিকাশি নালা উপচে ভাসে রাস্তা। বাসিন্দাদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেয়েই পুরপ্রধান সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, “শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব পুরবাসীরও। কিন্তু যে ভাবে নর্দমা ও রাস্তার ধারে জঞ্জাল ফেলা হচ্ছে তা বন্ধ করতে হবে। এর জন্য শীঘ্রই ওয়ার্ড কমিটির বৈঠক ডেকে এ বিষয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ এক জায়গায় তিনি নিজে দাঁড়িয়ে নিকাশি নালা সাফাইয়ের কাজও করান। তিনি জানান, রাস্তার ধারে বা নিকাশি নালায় যে বা যাঁরা আবর্জনা ফেলবেন তাঁকে জরিমানা দিতে হবে। পাশাপাশি শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ওয়ার্ড কমিটির মাধ্যমে নজরদারি ও সচেতনতার প্রচার চালানো হবে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার ভ্যাট-ডাস্টবিন পরিষ্কার না হলে বাসিন্দারা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারেন পুর কর্তৃপক্ষের কাছে। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সাফাই কর্মীর বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রমাণ মিললে তাঁকে রেয়াত করা হবে না বলে পুরপ্রধান জানান।

মিশন নির্মল বাংলায় রাজ্যের অন্যতম পর্যটন শহর ঝাড়গ্রামের জঞ্জাল চিত্র নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে পুর-কর্তৃপক্ষ। শহরের ১৮টি ওয়ার্ডে জঞ্জাল ফেলার ১২টি প্রাইমারি পয়েন্ট রয়ে‌ছে। এ ছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু ডাস্টবিন। অভিযোগ, তারপরেও নির্দিষ্ট জায়গায় জঞ্জাল ফেলছেন না শহরবাসীর একাংশ। রাস্তায়, নিকাশি নালায় জঞ্জাল ফেলা নিয়ে বিজেপি-র ঝাড়গ্রাম শহর সভাপতি দীপকুমার বেরা বলেন, “পুরসভার পর্যাপ্ত ভ্যাট-ডাস্টবিন নেই। যে গুলি আছে সেগুলিও নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। তাই বাধ্য হয়ে অনেকে রাস্তায়, নর্দমায় নোংরা ফেলছেন।”

ঝাড়গ্রামের প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা সিপিএম নেতা প্রদীপ সরকারের কটাক্ষ, “তৃণমূলের পুরবোর্ড পর্যটনের এই শহরকে ‘জঞ্জাল-শহর’ বানিয়ে ফেলেছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Fine draining Garbage
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE