জল-পথ: আকাশে রোদ। তবে জলমগ্ন ঘাটালে নৌকো আর ডিঙিই যাতায়াতের ভরসা। ছবি: কৌশিক সাঁতরা
বৃষ্টি থেমেছে। আবহাওয়ারও উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যেও ক্রমশ খারাপ হচ্ছে জলমগ্ন ঘাটালের পরিস্থিতি। ঘাটালের মহকুমাশাসক পিনাকিরঞ্জন প্রধান বলেন, “আমরা সতর্ক। নতুন করে আবহাওয়ার অবনতি না হলে দু’-এক দিন পর থেকেই জল নামতে শুরু করবে।” প্রশাসন সূত্রে ব্যাখ্যা, রবিবার আচমকাই চন্দ্রকোনার কালাকড়ি ও খামারবেড়িয়ায় বাঁধ ভেঙে বেশ কয়েকটি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়ে। সোমবার সে সব এলাকা থেকে দ্রুতগতিতে জল নামতে শুরু করে। সেই জলই চলে আসছে ঘাটালে। ফলে জল বাড়ছে শহরে। তবে ঘাটালের মহকুমা সেচ আধিকারিক উত্তম হাজরা বলেন, “উদ্বেগের কারণ নেই। শিলাবতী নদীতে ভালই স্রোত রয়েছে। ফলে মঙ্গলবার থেকেই জল কমার সম্ভবনা রয়েছে।”
নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টিতে রবিবার সকাল থেকেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে ঘাটাল শহর। আড়গোড়া, শুকচন্দ্রপুর, গম্ভীরনগর, চাউলি, রামচন্দ্রপুর, দুধেরবাঁধ-সহ বিভিন্ন এলাকাগুলি এখনও জলের তলায়। রাস্তায় জল উঠে যাওয়ায় সোমবার থেকে নৌকা চড়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন শহরের পশ্চিমপাড়ের বাসিন্দারা। ঘাটালের পুরপ্রধান বিভাস ঘোষ জানান, শহরের ১৩টি ওয়ার্ডই জলমগ্ন। কিছু এলাকায় নৌকো চলছে। কোথাও কোথাও পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। পুরসভার তরফ থেকে নৌকায় করে জল সরবরাহ করা হচ্ছে। একই ভাবে জলমগ্ন হয়ে পড়ে ঘাটাল ব্লকের অজনবগর, বীরসিংহ, মনসুকা-সহ চার-পাঁচটি পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ৪০টি গ্রাম। অতিবৃষ্টিতে ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় একাধিক প্রাথমিক ও হাইস্কুল ডুবে যায়। এক মাস পুজোর ছুটির পর সোমবার থেকেই স্কুল খুলেছে। কিন্তু তৃণমূল প্রভাবিত প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের আহ্বায়ক সোমেশ চক্রবর্তী বলেন, “জল ঢুকে যাওয়ায় ৬০টি প্রাথমিক স্কুল বন্ধ।” একই পরিস্থিতি ঘাটালের একাধিক হাইস্কুলেরও।
সোমবার জল কমতে শুরু করলেও যানবাহন চলছে না ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কের মনসাতলা চাতালে। ফলে নৌকা চড়ে যাতায়াত করছেন নিত্যযাত্রীরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই চাতালে এখন ‘ভেন্টেড কজওয়ে’র কাজ চলছে। ফলে সেখানকার হাল খুব খারাপ। সে কারণে জল কমলেও দুঘর্টনা এড়াতে প্রশাসন ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রেখেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy