E-Paper

গড়বেতায় বন্যা পরিস্থিতি

হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানানো হয়। পুরুলিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় গড়ে প্রায় ১৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২৫ ১০:১৭
গড়বেতা ২ ব্লকের চেমিয়া এলাকায় হুমগড়-আমলাশুলি রাজ্য সড়কের উপরের সেতু জলের তলায়। বৃহস্পতিবার।

গড়বেতা ২ ব্লকের চেমিয়া এলাকায় হুমগড়-আমলাশুলি রাজ্য সড়কের উপরের সেতু জলের তলায়। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র।

ভারী বৃষ্টি আর জলাধার থেকে ছাড়া জল— দু’য়ের জেরে বিপর্যস্ত একাধিক জেলার জনজীবন। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার একাংশ জলমগ্ন। বন্যা পরিস্থিতি হয়েছে গড়বেতায়। বৃষ্টিতে দেওয়াল ভেঙে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ায়। পুরুলিয়ার বরাবাজারে কজ়ওয়ে পেরোতে গিয়ে ভেসে যান এক বৃদ্ধ।

বুধবার রাত থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার দিনভর বৃষ্টি চলে। এ দিন মাইথন জলাধার থেকে সাত হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে ২৮ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়। দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ৩৫,২০০ কিউসেক হারে এবং গালুডি ব্যারাজ থেকে এক লক্ষ ২৮ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়েছে।

এ দিন দুপুরে চালাঘরের দেওয়াল ভেঙে গুরুতর আহত হন জামুড়িয়ার উমাকান্ত মণ্ডল (৬৭)। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানানো হয়। পুরুলিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় গড়ে প্রায় ১৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক কজ়ওয়ে। বরাবাজারে কজ়ওয়ে পেরনোর সময়ে এ দিন সাইকেল-সহ জলের তোড়ে ভেসে যান স্থানীয় ফাগুডি গ্রামের বৃদ্ধ আনন্দ মুর্মু। রাত পর্যন্ত তাঁর খোঁজ মেলেনি। সুইসা থেকে শালডাবরা যাওয়ার অস্থায়ী সেতু ভেঙেছে। ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ। বলরামপুরে কুমারী নদীর সেতুতে জল উঠে বড় উরমা-ঘাটবেড়া রাস্তায় বন্ধ যাতায়াত।

শিলাবতী, কংসাবতী, সুবর্ণরেখা, বিভিন্ন নদীর জলস্তরও বাড়ছে। টানা বৃষ্টিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা ১, গড়বেতা ২ ও চন্দ্রকোনা ব্লকের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত। কয়েকশো পরিবারকে নিরাপদ জায়গায় সরাতে হয়েছে। ভেঙেছে সাঁকো, কজ়ওয়ে। দু’টি রাজ্য সড়কে যান চলাচল বন্ধ। চন্দ্রকোনা ২ ব্লকে ঘোষকিরার কাছে শিলাবতীর বাঁধ ভেঙেছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, ‘‘পরিস্থিতি নজরে রাখা হয়েছে।’’

বাঁকুড়ার সিমলাপালে ৯ নম্বর রাজ্য সড়কে শিলাবতীর কজ়ওয়ে ডুবে যানবাহন আটকে যায়। মানকানালি,সানবাঁধা, ভাদুল কজ়ওয়ে জলের তলায় চলে যাওয়ায় বাঁকুড়া শহরের সঙ্গেএলাকাগুলির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) নকুলচন্দ্র মাহাতো বলেন, “১০টি ত্রাণশিবির চালু হয়েছে।”

বৃহস্পতিবার দু’দফায় ঝাড়খণ্ডের গালুডি জলাধার থেকে জল ছাড়ায় ঝাড়গ্রামে সুবর্ণরেখা তীরবর্তী এলাকাগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল অবশ্য বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Garbeta

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy