Advertisement
E-Paper

গ্রামীণ সড়কে টোল আদায়ের উদ্যোগ

গ্রামের মাটির বা মোরাম রাস্তার উন্নতি ঘটিয়ে পাকা সড়ক হয়েছে কয়েক বছর আগে। কিন্তু গ্রামীণ ওই পাকা সড়কে দিনরাত মালবাহী লরি, ট্রেকার চলাচল করার জেরে রাস্তা বেহাল হয়ে গিয়েছে। টাকার অভাবে ওই গ্রামীণ রাস্তা সারাতে না পারায় দিন দিন দুর্ভোগ বাড়ছে।

আনন্দ মণ্ডল

শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:৪১
এই রাস্তা মেরামতির জন্য আদায় হবে টোল। নিজস্ব চিত্র।

এই রাস্তা মেরামতির জন্য আদায় হবে টোল। নিজস্ব চিত্র।

গ্রামের মাটির বা মোরাম রাস্তার উন্নতি ঘটিয়ে পাকা সড়ক হয়েছে কয়েক বছর আগে। কিন্তু গ্রামীণ ওই পাকা সড়কে দিনরাত মালবাহী লরি, ট্রেকার চলাচল করার জেরে রাস্তা বেহাল হয়ে গিয়েছে। টাকার অভাবে ওই গ্রামীণ রাস্তা সারাতে না পারায় দিন দিন দুর্ভোগ বাড়ছে। সমস্যা মেটাতে রাস্তা মেরামতির টাকা জোগাড় করতে এ বার গাড়ি থেকে টোল আদায়ের পথে হাঁটছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ।

প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিলের অর্থ বরাদ্দে তৈরি গ্রামীণ সড়কে ভারী যানবাহন থেকে টোল আদায় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রথম পর্যায়ে আগামী পয়লা জানুয়ারি থেকে জেলার ২৫ টি গ্রামীণ সড়কে টোল আদায় হবে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় পাকা রাস্তা তৈরির পর পাঁচ বছরের জন্য গ্যারান্টি থাকলেও অধিকাংশ রাস্তা তার আগে খারাপ হয়ে যায় ভারী গাড়ি যাতায়াতের ফলে। রাস্তা মেরামতির টাকার সংস্থান করতে সড়কে যাতায়াতকারী মালবাহী ও যাত্রীবাহী গাড়ি থেকে টোল হিসেবে টাকা আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’

জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০০-২০০১ আর্থিক বছরে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় জেলায় পাকা গ্রামীণ সড়ক তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে। ধাপে ধাপে জেলার বিভিন্ন এলাকায় গ্রামীণ পাকা সড়ক তৈরি করা হয়েছে। জেলায় এখন গ্রামীণ পাকা সড়কের দৈর্ঘ্য ১১৬৫ কিলোমিটার। জেলা পরিষদ কর্তাদের মতে, গ্রামীণ সড়কগুলি বেহাল হওয়ার একটি বড় কারণ ওই রাস্তায় মালবাহী লরি ও যাত্রীবাহী ট্রেকার-সহ বিভিন্ন ভারী যান চলাচল। কারণ গ্রামীণ সড়কের বহন ক্ষমতা ১০ টন হলেও ওইসব রাস্তায় ভারী গাড়ির ওজন তার প্রায় দ্বিগুণ-তিনগুণ।

জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ বেরা বলেন, ‘‘গ্রামীণ সড়কগুলি মেরামতির জন্য প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকার প্রয়োজন। কিন্তু ওই পরিমাণ টাকা আসে না। তাই মূলত সড়ক মেরামতির টাকার সংস্থান করতে সড়কে যাতায়াত করা ভারী গাড়িগুলি থেকে টোল আদায় করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর থেকে এ বিষয়ে অনুমতি মিলেছে।’’ তিনি জানান, ৬ মাস জেলা পরিষদ পরীক্ষামুলকভাবে টোল আদায় করবে। রাস্তার প্রবেশপথগুলিতে জেলা পরিষদ নিযুক্ত কর্মীরা থাকবেন। সড়কগুলিতে যাতায়াতকারী সম্ভাব্য গাড়ির সংখ্যা অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে তা লিজ দেওয়া হবে।

toll tax village road repair
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy