যুদ্ধের আবহে নাগরিক সংযম খুব জরুরি। এই পরিস্থিতিতে গোটা দেশবাসীকে দলমত নির্বিশেষে একজোট হয়ে দায়িত্বশীল নাগরিকের ভূমিকা পালনের পরামর্শ দিলেন প্রাক্তন বায়ুসেনা কর্মী বছর পঁয়ষট্টির অমলকুমার কর।
ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের নয়াবসানের বাসিন্দা অমল সরাসরি না হলেও ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন ব্লু স্টার’-এ জখম সেনাদের উদ্ধারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ৪১ বছর আগে জুনের অমৃতসর। খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবিতে অস্ত্রশস্ত্র মজুত করে স্বর্ণমন্দিরে আশ্রয় নিয়েছিল শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা জার্নাইল সিং ভিন্দ্রানওয়ালে ও তার অনুগামী খালিস্তানি জঙ্গিরা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নির্দেশে সেনা অভিযান হয়েছিল। অমল তখন তিনি ভারতীয় বায়ুসেনার ‘গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার’। জখম সেনাদের দ্রুত সেনা হাসপাতালে পৌঁছে দিতে অমৃতসর বিমান ঘাঁটিতে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে তৈরি থাকতেন বায়ুসেনা কর্মীরা। সেই দলে ছিলেন অমলও। তাঁর কথায়, ‘‘একসঙ্গে ৪৮ জন আহত সেনা জওয়ানকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। জখম রক্তাক্ত সেনারা উড়ানপথে উচ্চস্বরে গেয়েছিলেন, ‘সারে জহা সে আচ্ছা হিন্দুস্তান হমারা’। ভারতীয় সেনার অদম্য মনোবল আর সাহসের কারণে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিটি যুদ্ধে আমরা সফল হয়েছি। এ বারও হব।’’
একই সঙ্গে অমল মনে করাচ্ছেন, ‘‘সমাজমাধ্যমে একাংশ নেটিজেন যুদ্ধ নিয়ে নানা কুমন্তব্য করছেন। এটা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। এই সময় সবাইকে সংযত হয়ে ভারতীয় সেনার পাশে থাকতে হবে।’’ অমলের বাবা প্রয়াত ধনঞ্জয় কর ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। অমলের কথায়, ‘‘কাশ্মীরের বিভাজন বাবার মতো অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। ভারতীয় সেনার সাফল্যে মানচিত্রে অখণ্ড কাশ্মীরের সংযুক্তিকরণ হয়তো সময়ের অপেক্ষা।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)