প্রতীকী ছবি
ঘোষণা হলেও ‘ওয়াই ফাই’ পরিষেবা চালু হয়নি রেলশহর খড়্গপুরে। তবে পাশের শহর মেদিনীপুরে নববর্ষের আগেই মিলতে চলেছে নিখরচার এই নেট পরিষেবা। মেদিনীপুরের পুরপ্রধান প্রণব বসু বলেন, “শহরে ফ্রি ‘ওয়াই ফাই’ জোন চালুর জন্য পদক্ষেপ করা হয়েছে। শীঘ্রই এই পরিষেবা চালু হবে।”
পুরসভা সূত্রে খবর, আপাতত মেদিনীপুর শহরের এলআইসি মোড় ও সংলগ্ন পাঁচশো মিটার এলাকায় এই পরিষেবা মিলবে। এ জন্য এক সংস্থার সঙ্গে পুরসভার চুক্তিও হয়েছে। ব্যয় হয়েছে প্রায় এক লক্ষ টাকা। পরে শহরের অন্যত্রও এই পরিষেবা চালু হবে। পুরসভার কাউন্সিলর নির্মাল্য চক্রবর্তীর দাবি, “শহরের ‘ওয়াই ফাই’ জোন এলআইসি মোড়ে উন্নতমানের পরিষেবাই মিলবে।”
এলআইসি মোড়ের পাশেই রয়েছে জেলা কালেক্টরেট। সেখানে জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক থেকে বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের দফতর রয়েছে। কিছুটা দূরে রয়েছে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড ও পুলিশ লাইন। পুরসভার এক কর্তা বলেন, “শহরের এমন ব্যস্ত এলাকায় ফ্রি ওয়াই ফাই জোন চালু হলে অনেকেই উপকৃত হবেন। নিজের ফোনের বাড়তি ইন্টারনেটের বিলের হাত থেকে রেহাই পাবেন তাঁরা।”
কী ভাবে মিলবে পরিষেবা?
স্মার্ট ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপে মিলবে এই পরিষেবা। শহরের এলআইসি মোড়ে গিয়ে মোবাইলের ‘ওয়াই ফাই’ অপশন চালু করতে হবে। তার পর ‘ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড’ (ওটিপি) জানিয়ে একটি মেসেজ আসবে ফোনে। ‘ওটিপি’ দিয়ে ‘লগ ইন’ করলেই নিখরচায় ‘ওয়াই ফাই’ সংযোগের সুবিধা মিলবে।
খড়্গপুর আইআইটি ও রেলস্টেশন চত্বরে ইতিমধ্যেই নিখরচায় ‘ওয়াই ফাই’ সংযোগের সুবিধা পাওয়া যায়। ২০১৫ সালে রেলশহরে ‘ওয়াই ফাই’ পরিষেবা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল খড়্গপুর পুরসভা। যদিও সেই সিদ্ধান্ত এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
ফ্রি ‘ওয়াই ফাই’ জোন চালু হলে শহরের কম বয়সী পড়ুয়াদেরও সুবিধা হবে বলে আশা পুরসভার। কলেজ পড়ুয়া সায়ন্তী দাস, ঈশানী পাত্রদের কথায়, “‘ওয়াই ফাই’ জোন চালু হলে ভালই হবে। মেদিনীপুর পুরসভার চালু করা ‘ওয়াই ফাই’-তে সব সময় টাওয়ার পাওয়া যাবে বলে আশা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy