Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

যত্রতত্র জঞ্জালের স্তূপ, দুর্গন্ধে নাভিশ্বাস মেচেদায়

যত্রতত্র জঞ্জালের স্তূপ। নির্মল জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত মেচেদায় প্রতিদিন কয়েক টন আবর্জনা তৈরি হয়। যদিও নিয়মিত বর্জ্য সাফাইয়ের ব্যবস্থা না থাকায় দুর্গন্ধে টেকা দায়।

মেচেদার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় স্তূপাকার আবর্জনা। নিজস্ব চিত্র।

মেচেদার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় স্তূপাকার আবর্জনা। নিজস্ব চিত্র।

আনন্দ মণ্ডল
তমলুক শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:১৫
Share: Save:

যত্রতত্র জঞ্জালের স্তূপ। নির্মল জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত মেচেদায় প্রতিদিন কয়েক টন আবর্জনা তৈরি হয়। যদিও নিয়মিত বর্জ্য সাফাইয়ের ব্যবস্থা না থাকায় দুর্গন্ধে টেকা দায়।

জঞ্জাল ফেলার নির্দিষ্ট জায়গাও নেই। ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে, রেল লাইনের পাশে, পূর্ত দফতরের ফাঁকা জায়গায় যেখানে খুশি আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এলাকার প্রধান নিকাশি খাল বাপুর খালও নোংরায় অবরুদ্ধ। ইতিমধ্যে মেচেদা শহর-সহ কোলাঘাট এলাকাকে পুরসভা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু মেচেদা বাজারের দোকান, বসতি এলাকায় নিয়মিত জঞ্জাল সাফাই না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ।

মেচেদা বাজার এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যার কথা স্বীকার করছেন স্থানীয় শান্তিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তথা প্রাক্তন প্রধান পঞ্চানন দাস। তিনি বলেন, ‘‘এলাকায় উপযুক্ত জায়গার অভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সমস্যা হচ্ছে। জায়গা চেয়ে ও অর্থ বরাদ্দের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’’

কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে ওঠার আগে থেকেই মেচেদা স্টেশনের কাছে কাকডিহি এলাকায় বাজার বসে। এটিই এখন মেচেদা পুরাতন বাজার নামে পরিচিত। আশির দশকে বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে ওঠার সময় একাধিক নতুন বাজারও গড়ে তোলা হয়।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মেচেদায় এখন প্রায় ৪ হাজার ৯৪০টি পরিবারের বাস। বিভিন্ন বাজারে স্থায়ী, অস্থায়ী মিলিয়ে দোকানের সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। প্রতিদিন এই সব বাড়ি ও দোকান থেকে যে বর্জ্য তৈরি হয়, তা রাস্তার ধারেই স্তূপীকৃত হয়ে থাকে বলে অভিযোগ।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সাথে যুক্ত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্তা প্রসূনকান্তি দাসের দাবি, ‘‘সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, শুধু মেচেদার পান বাজার ও মাছ বাজার থেকেই প্রতিদিন প্রায় দেড় টন আবর্জনা তৈরি হয়। এলাকার দোকান ও বাড়ি মিলিয়ে আরও আড়াই টন আবর্জনা তৈরি হয়। যদিও এত বিপুল পরিমাণ জঞ্জাল সাফাইয়ের ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যা তৈরি হয়।’’ পুরাতন বাজার এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী স্বদেশরঞ্জন মান্নার অভিযোগ, ‘‘এলাকায় জঞ্জাল সাফাইয়ের ব্যবস্থাই নেই। বাধ্য হয়ে বাড়ির পাশে অস্থায়ী ভ্যাট করা হয়েছে।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘কয়েকদিন ছাড়া টাকা খরচ করে বাড়িতে জমে থাকা জঞ্জাল বাসস্ট্যান্ডের কাছে ভ্যাটে ফেলার ব্যবস্থা করতে হয়। কতদিন এ ভাবে চলবে জানিনা।’’

জঞ্জাল যন্ত্রণা থেকে কবে রেহাই মিলবে, সেটাই দেখার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Garbage Mecheda
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE