সরকারি বাস যাবে তার নিজের রুটে। কিন্তু স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার দাবি তাঁর লোকেদের বিনা ভাড়ায় পৌঁছে দিতে হবে তাঁদের পছন্দের জায়গায়। বাস চালক, কন্ডাক্টর রাজি না হওয়ায় মারধরের অভিযোগ উঠল ওই নেতার বিরুদ্ধে। হলদিয়া টাউনশিপের দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বাস ডিপোর ঘটনা। অভিযুক্ত নেতা জয়দেব দাসকে সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার রাতেই টাউনশিপ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সংস্থার টিকিট পরীক্ষক শ্যামল সরকার। তাঁর অভিযোগ, রবিবার বিকেলে হলদিয়া-ফলতা ভায়া কলকাতা ননস্টপ একটি বাস ডিপো থেকে বেরচ্ছিল। সে সময় জয়দেব দাস তাঁর দলবল নিয়ে এসে বাসটিকে থামান। তাঁর দাবি, টিকিট ছাড়াই চার জনকে ওই বাসে তুলে নিতে হবে।
তিনি বাস চালককে বলেন ওই চারজন যাত্রীকে বাগনান লাইব্রেরি মোড়ে নামিয়ে দিতে। চালক গৌতম শীট অস্বীকার করেন। কারণ ননস্টপ বাসটির ওখানে দাঁড়ানোর কথা নয়। অভিযোগ, এ কথা শুনেই মেজাজ হারান জয়দেব। বাস চালক ও কন্ডাক্টরকে অশ্লীল গালিগালাজ করতে থাকেন। পরে তাঁদের মারধর শুরু করেন। মধ্যস্থতা করতে গিয়ে আক্রান্ত হন শ্যামলবাবুও। তাঁকেও চড়-থাপ্পড় মারা হয়। এমনকী থানায় অভিযোগ জানালে শ্যামলবাবুকে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। চালক গৌতম শীট বলেন, “সরকারি বাস চালাই। যাত্রী আর যাত্রাপথ নিয়ে এ ভাবে মার খেতে হবে তা ভাবতেই পারছি না। আমি নিয়মটাই ওঁকে বলেছিলাম।”
কর্তব্যরত সরকারি কর্মীকে মারধর করেও গ্রেফতার হননি জয়দেব। পুলিশের দাবি, অভিযোগকারীরা অভিযুক্তের ঠিকানা জানাতে পারেনি। তাই গ্রেফতার করা যায়নি। তবে বিষয়টি আদালতকে জানিয়ে তদন্ত করা হবে। ঘটনাচক্রে এই ডিপোয় তৃণমূল কর্মী ইউনিয়নের সভাপতি হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ মণ্ডল। ডিপোর পক্ষ থেকে তাঁকেও ঘটনাটি জানানো হয়। দেবপ্রসাদবাবুর বক্তব্য, “ঘটনাটি আমাকে ফোনে জানানো হয়েছিল। আমি দল না দেখে থানায় অভিযোগ করতে বলেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy