Advertisement
E-Paper

দ্বন্দ্ব মিটেছে, দাবি জেলা তৃণমূলের

বেশ ক’মাস ধরেই চন্দ্রকোনায় শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দল চলছিল। সম্প্রতি সেটা বেআব্রু হয়ে পড়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০০:৫২
বিপজ্জনক: গর্ত হয়ে গিয়েছে রাস্তার মাঝে। যে কোনও সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। মেদিনীপুরের বিধাননগরে। নিজস্ব চিত্র

বিপজ্জনক: গর্ত হয়ে গিয়েছে রাস্তার মাঝে। যে কোনও সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। মেদিনীপুরের বিধাননগরে। নিজস্ব চিত্র

বিতর্ক হতেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব উধাও!

চন্দ্রকোনায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটে গিয়েছে—শুক্রবারএমনই দাবি করলেন তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। যে দ্বন্দ্ব এতদিন ধরে চলছিল, রাতারাতি তা মিটল কী ভাবে? পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতির দাবি, “পঞ্চায়েতের ভোটের দিকে তাকিয়েই দু’পক্ষকে পাশাপাশি বসিয়েই সমাধান সূত্র মিলেছে।”

বেশ ক’মাস ধরেই চন্দ্রকোনায় শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দল চলছিল। সম্প্রতি সেটা বেআব্রু হয়ে পড়ে। বিধায়ক ছায়া দোলইয়ের বাড়িতে হামলার ঘটনাও ঘটে। বিবদমান দু’পক্ষের কেউ-ই অভিযোগ দায়ের না করলেও তৃণমূলের দলীয় নির্দেশে বিবাদ মীমাংসা উদ্যোগী হয় পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া তৃণমূল নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। প্রায় ৪০ মিনিটের ওই বৈঠকে বিধায়ক, জেলা সভাপতি ছাড়াও ছিলেন ব্লক সভাপতি অমিতাভ কুশারী এবং ব্লক সহ সভাপতি হীরালাল ঘোষ। সূত্রের খবর, পুলিশ সুপার সংশ্লিষ্ট সমস্ত বিষয়ে সতর্ক করার পাশাপাশি স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন, পুলিশ এবার পুলিশের কাজই করবে। গন্ডগোলে মদত দেওয়ার অভিযোগে তিন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান পুলিশ সুপার।

দলীয় বিবাদ মেটাতে পুলিশি দাওয়াইয়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক। প্রশ্ন ওঠে, প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ যে কায়দায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল সামাল দিতেন একই ট্র্যাডিশন কি বহাল থাকবে পশ্চিম মেদিনীপুরে?

পুলিশ সুপারের বৈঠকের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে পড়েন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বিড়ম্বনায় প়ড়ে পুলিশও।

জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেন, “দলের সমস্যা দলই মিটিয়েছে। পুলিশের কোনও ভূমিকা নেই।” তাঁর দাবি, “দলে থেকে কেউ অন্যায় করলে দল দায়িত্ব নেবে না। পুলিশ তার কাজ করবে। দল কোনও ভাবেই নাক গলাবে না।”

জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তার মন্তব্য, “পুলিশ পুলিশের কাজ করেছে। তার বাইরে কিছু নয়।”

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দু’পক্ষকে নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। গন্ডগোল ভুলে একসঙ্গে মিলেমিশে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়। দলবিরোধী নানা কাজের জন্য শেষবারের মতো সতর্ক করে দেওয়া হয় ব্লক সভাপতি ‘ঘনিষ্ঠ’ সুদীপ কুশারী, সঞ্জিত মিদ্যা এবং প্রদীপ ঘোষকে। ব্লক সভাপতিকে তিন তৃণমূল কর্মীকে দলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিতে বলা হয়। ব্লক সভাপতিকে মারধরে অভিযুক্ত দলেরই সহ-সভাপতিকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সতর্কও করে দেওয়া হয় ওই নেতাকে। শুক্রবার সব পক্ষকে নিয়ে বিধায়কের বাড়িতেই কোর কমিটির বৈঠক ডাকতে এবং শনিবার এলাকায় একটি মিছিল করতেও বলা হয়।

TMC leaders TMC Group conflict Chandrakona
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy