Advertisement
E-Paper

জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা জানে না স্বাস্থ্য দফতর

জেলায় বাড়ছে জ্বরের প্রকোপ। গত এক সপ্তাহে গড়বেতা-৩ ব্লকে আক্রান্ত দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ব্লকের আঁধারিয়া ও নবকোলা গ্রাম থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার রিপোর্ট মিলবে। তবে গোটা জোলায় এখনও ঠিক কতজন জ্বরে আক্রান্ত তা বলতে পারছে না স্বাস্থ্য দফতর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৬ ০০:৫৪

জেলায় বাড়ছে জ্বরের প্রকোপ। গত এক সপ্তাহে গড়বেতা-৩ ব্লকে আক্রান্ত দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ব্লকের আঁধারিয়া ও নবকোলা গ্রাম থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার রিপোর্ট মিলবে। তবে গোটা জোলায় এখনও ঠিক কতজন জ্বরে আক্রান্ত তা বলতে পারছে না স্বাস্থ্য দফতর। কর্তৃপক্ষের যুক্তি, সকলে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছেন না। তাই স্বাস্থ্য দফতর এ বার সমস্ত বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমকে নির্দেশ দিয়েছে, জ্বরে আক্রান্ত রোগীর দেহে কী ধরনের জীবাণু মিলছে, তা যেন স্বাস্থ্য দফতরকে দ্রুত জানানো হয়।

জেলার উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, “কিছু ক্ষেত্রে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে কী কারণে জ্বর হচ্ছে, তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না।” তাঁর দাবি, আজ রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে আঁধারিয়া ও নবকোলায় জ্বরের প্রকোপ বেশি কেন। আঁধারিয়া গ্রামেরই সুমাইয়া মণ্ডল ও নবকোলার সালমা শেখের মৃত্যু হয়েছে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে। গত দশ দিনে ওই দু’টি গ্রামে বহু মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। রবিবারই এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। প্রায় ২০জন আক্রান্তের সন্ধান পেয়েছেন তাঁরা। এরই মধ্যে দ্বারিগেড়িয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১০ জন ভর্তি হয়েছেন।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, জ্বরের সঙ্গে মাথা ধরা, পেশি ও গাঁটে ব্যথার উপসর্গ রয়েছে। আবার কারও বমি ভাব রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এই মরসুমে এখনও পর্যন্ত ঝাড়গ্রাম, বেলদা-সহ জেলার নানা প্রান্তে চার জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। তাঁদের কেউ কলকাতায়, আবার কেউ বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি।

নবকোলা-আঁধারিয়ায় গিয়ে দেখা গেল গ্রামের চারদিকে অব্যবহৃত লরির টায়ার পড়ে এ দিক সে দিক। জল জমে আছে গর্তে। স্বাস্থ্যকর্মীরা কথা বলে জানলেন, দিনে শোওয়ার সময় প্রায় কেউই মশারি টাঙান না। সচেতনতা বৃদ্ধিতে ও এলাকা পরিষ্কার রাখতে পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। হঠাৎ জ্বর হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।

Dengue patient Health department
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy