দাসেরবাঁধ কঙ্কাল মামলার চার্জগঠনের শুনানি শুরু হল শনিবার। এ দিন মেদিনীপুরের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে মামলার শুনানি হয়। মামলার সরকারপক্ষের আইনজীবী দেবাশিস মাইতি বলেন, “এ দিন থেকে চার্জগঠনের শুনানি শুরু হয়েছে। ফের শুনানি হবে।” মামলার পরবর্তী দিন ধার্য্য হয়েছে আগামী ২০ মে।
দাসেরবাঁধ কঙ্কাল মামলার শুনানির দিন নির্দিষ্ট থাকায় এ দিন আদালতে চলে আসেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা গড়বেতার প্রাক্তন বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ-সহ এই মামলার অভিযুক্তেরা। আসেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক তরুণ রায়ও। ঘটনাটি ২০০২ সালের ২২ সেপ্টেম্বরের। ওই দিন ৭ তৃণমূল কর্মীকে সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনী গুমখুন করে বলে অভিযোগ। ২ জনের মৃতদেহ মেলে। বাকি ৫ জনের মৃতদেহ মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। রাজ্যে পালাবদলের পর গড়বেতার বিধায়কের আদি বাড়ি বেনাচাপড়ার অদূরে দাসেরবাঁধ থেকে মাটি খুঁড়ে হাড়গোড় মেলে। হাড়গোড় উদ্ধারের পর ২০১১ সালের ৫ জুন গড়বেতার বিধায়ক-সহ মোট ৪০ জনের নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। মামলা রুজু হয়। গোড়ায় তদন্ত শুরু করে পুলিশই। পরে তদন্ত শুরু করে সিআইডি।
তদন্তে নেমে ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর মেদিনীপুর আদালতে চার্জশিট পেশ করে সিআইডি। চার্জশিটে সবমিলিয়ে ৫৮ জনের নাম রয়েছে। ধৃত সকলেই এখন জামিনেমুক্ত। এই সময়ের মধ্যে দুই অভিযুক্ত মারাও গিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে নানা কারণে এই মামলার চার্জগঠন পিছিয়ে গিয়েছে। দিন নির্দিষ্ট থাকলেও চার্জগঠনের শুনানি শুরু করা সম্ভব হয়নি।
এ দিন পশ্চিম মেদিনীপুর ভেঙে ঝাড়গ্রাম জেলা গঠনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্তবাবু। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “জেলা ভাগের সিদ্ধান্ত ভাল। এই সিদ্ধান্ত অনেক আগেই হয়েছে। ছোট ছোট জেলা হলে কাজের গতি আসবে। এলাকার উন্নয়ন হবে।” তাঁর সংযোজন, “দেখা যাক কী হয়। ভবিষ্যত বলবে ভাল হবে কি খারাপ হবে।” এ দিন তিনি এও দাবি করেন, “পশ্চিমবাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির গোপন বোঝাপড়া রয়েছে। মানুষ সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। সে জন্য অপেক্ষা করতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy