E-Paper

অবস্থান বদল, মামনির স্বামী চান সরকারি সাহায্য

মামনির শ্বশুরবাড়ি গড়বেতা ৩ (চন্দ্রকোনা রোড) ব্লকের শঙ্করকাটা পঞ্চায়েতের সারগা গ্রামে। ঘটনার পর মামনির পরিবারের কাছে এসেছিলেন ব্লক ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:৪১
মামনির স্বামীকে শিশুর জন্য সাহায্য প্রধানের।

মামনির স্বামীকে শিশুর জন্য সাহায্য প্রধানের। নিজস্ব চিত্র।

চন্দ্রকোনা রোড: সরকারি সাহায্যের আর্জি জানালেন মেদিনীপুর মেডিক্যালে মৃত প্রসূতির স্বামী। পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে লিখিত আবেদনে তিনি শিশুর ভবিষ্যতের জন্য নিজের পুরনো অবস্থান থেকে সরে আসার কথাও জানান।

গত ১০ জানুয়ারি মেদিনীপুর মেডিক্যালে মৃত্যু হয় প্রসূতি মামনি রুইদাসের। এখানেই ৮ জানুয়ারি অস্ত্রোপচার করে পুত্রসন্তান হয়েছিল তাঁর। অভিযোগ ওঠে, নিম্নমানের স্যালাইন ও ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে মামনির। ওই দিন অস্ত্রোপচার হওয়া আরও কয়েকজন প্রসূতিও অসুস্থ হয়ে পড়েন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি।

মামনির শ্বশুরবাড়ি গড়বেতা ৩ (চন্দ্রকোনা রোড) ব্লকের শঙ্করকাটা পঞ্চায়েতের সারগা গ্রামে। ঘটনার পর মামনির পরিবারের কাছে এসেছিলেন ব্লক ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। আসেন শাসক-বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতারা। এসেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের কেউ চাকরি চাইলে সরকার ব্যবস্থা করবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তখন অবশ্য সরকারি সাহায্য নিতে অস্বীকার করেছিলেন মামনির স্বামী দেবাশিস রুইদাস।

সেই দেবাশিস শুক্রবার শঙ্করকাটার পঞ্চায়েত প্রধান জ্ঞানাঞ্জন মণ্ডলের কাছে গিয়ে আর্জি জানিয়েছেন সরকারি সাহায্যের। আগেও একবার প্রধানকে লিখিত আবেদন দেন তিনি। আবেদনে লেখা— ‘আমাকে বিজেপির কিছু নেতৃত্ব ভুল বুঝিয়েছিল। যে কারণে সরকারি সাহায্য নিতে অস্বীকার করেছিলাম। কিন্তু আমার বাড়ির অবস্থা খুবই খারাপ। বাচ্চার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি সরকারি সাহায্য নিয়ে বাঁচব।’ দেবাশিস বিডিওর কাছেও যান।

দেবাশিস মানছেন, ‘‘বাচ্চার ভবিষ্যতের কথা ভেবে সরকারি সাহায্যের জন্য আমি দু'বার প্রধানের কাছে, একবার বিডিওর কাছে গিয়েছিলাম।’’ প্রধান বলেন, ‘‘উনি (দেবাশিস) সরকারি সাহায্যর জন্য লিখিত আবেদন করেছেন। সেটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। শিশুখাদ্যও কিনে দিয়েছি।’’

আগে কেন সরকারি সাহায্য নেননি? দেবাশিসের জবাব, ‘‘বিজেপি বলেছিল বলে সরকারি সাহায্য নিতে অস্বীকার করেছিলাম। শুভেন্দু অধিকারী দু'লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। তারপর কেউ যোগাযোগ করেনি।’’ বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস মিশ্রের দাবি, ‘‘চাপ দিয়ে এটা করা হয়েছে।’’ তৃণমূলের মেদিনীপুর জেলার সভাপতি সুজয় হাজরা পাল্টা বলেন, ‘‘ওঁদের পাশে প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রী আছেন, আমরাও আছি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Midnapore Medical College

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy