অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের (আইসিডিএস) পুষ্টি প্রকল্পের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল খুদেরা। দেশপ্রাণ ব্লকের ছোট বানতলিয়া গ্রামে শুক্রবার এই ঘটনায় ৩২ জন শিশুকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়।
হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী চক্রবর্তী নিজে অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসার দেখভাল করেন। তিনি বলেন, ‘‘শিশুদের ওআরএস-সহ প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দেওয়া হয়েছে। সকলের অবস্থা স্থিতিশীল।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার ওই কেন্দ্রে এসেছিলেন ৪৭ জন পড়ুয়া। এদিন পড়ুয়াদের জন্য পুষ্টি প্রকল্পে রান্না হয়েছিল ভাত ও ডিমের ঝোল। কিছু পড়ুয়া এদিন কেন্দ্রে বসেই খাওয়া-দাওয়া করে। কিন্তু বেশিরভাগ পড়ুয়াই খাবার নিয়ে বাড়ি চলে যায়। এমনই এক পড়ুয়ার অভিভাবকের অভিযোগ, বাড়িতে খাবার নিয়ে যাওয়ার পর কৌটো খুলে দেখেন ভাতের মধ্যে টিকটিকির লেজ পড়েছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে সেই খাবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিয়ে এসে দেখান। এরপরই শোরঘোল পড়ে যায় এলাকায়। খবর পেয়ে কেন্দ্রে ছুটে আসেন ছোট বানতলিয়ার গ্রাম সদস্য মুকুল মাইতি। তিনি এদিনের হাজিরার খাতা দেখে সমস্ত পড়ুয়াদের বাড়িতে খবর পাঠান। যে সমস্ত পড়ুয়ারা ইতিমধ্যে খাবার খেয়েছিল, তাদের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। তারপর গাড়িতে ৩২ জন পড়ুয়াকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতালে এক শিশুর অভিভাবক জয়শ্রী দাস বলেন, “আমার ছেলেও ওই খাবার খায়। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে বিষয়টি জানার পর রীতিমতো ভয় পেয়ে যাই। তাই শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।’’ আর এক অভিভাবক মানসী মাইতি বলেন, “খাবার খেয়ে আমারা বাচ্চা বলছিল শরীর খারাপ লাগছে। প্রথমে বিষয়টি ঠিক বুঝতে পারিনি। পরে খবর জেনে গাড়িতে হাসপাতালে নিয়ে আসি।’’
তবে কী ভাবে খাবারে টিকটিকির লেজ এল তা নিয়ে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকার কোনও বক্তব্য জানা যায়নি। যদিও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সহায়িকাও এ দিনের খাবার খেয়েছেন। মুকুল মাইতি জানান, সব শিশুরাই ভাল রয়েছে। কী ভাবে এটা ঘটল খোঁজ খবর করা হবে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy