টাকার উৎস জানতে ক্ষুদ্র ক্রেতার উপরেও নজর রাখবে আয়কর বিভাগ (ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন্)। সম্প্রতি আয়কর আদায়ের ক্ষেত্রে কিছু নতুন নিয়ম চালু হয়েছে। তার মধ্যে এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসায়ীদের মাধ্যমেই এই নজরদারি চালাতে চায় আয়কর দফতর।
আইনে কী পরিবর্তন হয়েছে, আয়কর জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের কোন পথে চলতে হবে, কীভাবে ক্ষুদ্র ক্রেতা সম্পর্কে তথ্য তাঁরা আয়কর দফতরকে জানাবেন, সে সব নিয়ে সম্প্রতি একটি কর্মশালা হয়ে গেল মেদিনীপুর শহরের জেলা পরিকল্পনা ভবনে। আয়কর দফতর আয়োজিত ওই কর্মশালায় দুই মেদিনীপুরের ব্যবসায়ীদের খুঁটিনাটি বিষয় বোঝান দফতরের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর প্রিয়ব্রত প্রামাণিক।
চলতি বছর থেকে এক জন সারা বছরে ২ লক্ষ টাকা বা তার বেশি টাকার জিনিস নগদে কিনলে তাঁর সম্পর্কে তথ্য রাখবে আয়কর দফতর। কালো টাকার রমরমা বন্ধেই এই পদক্ষেপ। প্রিয়ব্রতবাবুর ব্যাখ্যা, “সকলেই কালো টাকায় লেনদেন করেন এমন নয়। আমরা টাকার উৎস জানতে চাইছি। আয়ব্যায়ের হিসাব দাখিল করলেই বোঝা যাবে, তিনি কর ফাঁকি দিয়েছেন কিনা।’’ ব্যবসায়ীরা জানান, প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় এখনও বেশিরভাগ দোকানেই কম্পিউটার নয়, সাধারণ খাতাতেই হিসেব থাকে। সাধারণ রসিদে বিল দেওয়া হয়। এ ভাবে প্রতিটি ক্রেতার তথ্য রাখা কি সম্ভব? প্রিয়ব্রতবাবুর জবাব, “একজন একটি দোকানে সারা বছরে ২ লক্ষ টাকার জিনিস কিনলে তাঁর সম্বন্ধে তথ্য রাখা কঠিন নয়। এমন খদ্দেররা ধারেও জিনিস কেনেন। ফলে খাতায় সেই তথ্যও থাকে। সেটাই আয়কর দফতরকে জানাতে হবে।”
জমি কেনাবেচার ক্ষেত্রেও এখন দলিলে প্যান নম্বর রাখার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ আয়কর ফাঁকি দিলে প্রথমে তাঁকে নির্দিষ্ট দিনের পর থেকে দিনে ১০০ টাকা করে জরিমানা করা হবে। তারপর নোটিস পাঠানো হবে। তাতেও কাজ না হলে দিনে ৫০০ টাকা করে জরিমানা। তারপর এককালীন ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। হতে পারে জেলও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy