Advertisement
E-Paper

অনাদরে ম্লান মাসুরিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস

মাসুরিয়া, ডিহি মাসুরিয়া, চণ্ডীপুর এলাকার এই মহিলাদের লড়াইকে সম্মান জানাতে তৈরি হয়েছে একটি স্মারক স্তম্ভ। মাসুরিয়ায় ভারত ছাড়ো আন্দোলন স্মারক কমিটির উদ্যোগে এই স্তম্ভটি রয়েছে গ্রামে ঢোকার মুখেই। সেখানে লেখা রয়েছে এই ৪৬ জন বীরের নাম।

আরিফ ইকবাল খান

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৭ ০১:২৭
অরক্ষিত: মাসুরিয়ায় চলছে স্মারক স্তম্ভ সংলগ্ন এলাকা সাফাইয়ের কাজ। নিজস্ব চিত্র

অরক্ষিত: মাসুরিয়ায় চলছে স্মারক স্তম্ভ সংলগ্ন এলাকা সাফাইয়ের কাজ। নিজস্ব চিত্র

অত্যাচারী ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ৪৬ জন মহিলা। তবুও লড়াইয়ের ময়দান ছাড়েননি তাঁরা। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এলাকার বিপ্লবীরাও। সময়টা ১৯৪৩।

মাসুরিয়া, ডিহি মাসুরিয়া, চণ্ডীপুর এলাকার এই মহিলাদের লড়াইকে সম্মান জানাতে তৈরি হয়েছে একটি স্মারক স্তম্ভ। মাসুরিয়ায় ভারত ছাড়ো আন্দোলন স্মারক কমিটির উদ্যোগে এই স্তম্ভটি রয়েছে গ্রামে ঢোকার মুখেই। সেখানে লেখা রয়েছে এই ৪৬ জন বীরের নাম। আজ, ১৫ অগস্টে জাতীয় পতাকা তোলা হবে এখানে। তার পর আবার অযত্নেই পড়ে থাকবে এই স্মারক। এটাই মহিষাদলের আক্ষেপ।

‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনে সারা দেশের মতোই উত্তাল হয়ে উঠেছিল মহিষাদল ব্লকের লক্ষ্যা অঞ্চলের তিনটি গ্রাম মাসুরিয়া, ডিহি মাসুরিয়া ও চণ্ডীপুর। রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত স্থানীয় স্বদেশী আন্দোলনকারী চিত্তরঞ্জন সামন্ত বলেন, “মাসুরিয়ার ঘটনার পর মহিলারা পিছিয়ে আসেননি। বরং লড়াই এগিয়ে গিয়েছিলেন দ্বিগুণ উদ্যমে। সে সময় গ্রামে গ্রামে তৈরি হয় যুযুৎসু বাহিনী।” স্থানীয় বাসিন্দা ভারতী মাইতির কথায়, “চোখের সামনে টুকিবালা মাইতিকে দেখেছি। তিনি আমাদের প্রতিবেশী ছিলেন। নির্যাতিতা হওয়ার পরেও কী ভাবে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন, সে কথা শুনেছি তাঁর কাছেই।” উল্লেখ্য, ঘটনাটি জানতে পেরে মহিষাদল পৌঁছে গিয়েছিলেন মহাত্মা গাঁধীও।

স্বাধীনতা আন্দোলনে যে এলাকা এত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, তা-ই আজ পড়ে অনাদরে। মহিষাদলের বাসিন্দা সুব্রত মাইতি বলেন, “মাসুড়িয়ায় স্মারক তৈরির সময় আমি সভাপতি ছিলাম। যে ঘটনা গাঁধীজিকে মহিষাদলে টেনে এনেছিল, তার গুরুত্ব আজ আর মনে রাখছে না কেউ।” ৪৬ জন মহিলার সাহসিকতা আর ত্যাগের কথা নতুন প্রজন্মর কাছে তুলে ধরার ক্ষেত্রেও খামতি রয়েছে বলেই তাঁর অভিমত। তাই মহিষাদলের মানুষের দাবি, ইতিহাসটা সামনে আসুক, উৎসাহী হোক নতুন প্রজন্ম।

Independence Day Masuriya Mahishadal মাসুরিয়া মহিষাদল
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy