অনুমোদন থাকা সত্ত্বেও এখনও সাংসদ তহবিলের টাকা পায়নি দেবের নিজের গ্রামের এক স্কুল। জেলা প্রশাসনে জানিয়ে কাজ হয়নি। তাই সরাসরি নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে অভিযোগ জানিয়েছে কেশপুরের মহিষদা রামনারায়ণ হাইস্কুল।
তৃণমূলের তারকা-সাংসদ দেবের ছোটবেলা কেটেছে মহিষদায়। এখানেই তাঁর দেশের বাড়ি। অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। কেন টাকা মেলেনি, সে ব্যাপারে জেলার রিপোর্টও তলব করা হয়েছে। শুক্রবার জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘‘মহিষদার ওই স্কুলকে এখনও সাংসদ-তহবিলের অর্থ দেওয়া সম্ভব হয়নি, রিপোর্টে তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।’’
মহিষদা রামনারায়ণ হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১,২০০। ওই স্কুলের পাশেই পুকুর রয়েছে। সেখানে কোনও গার্ডওয়াল নেই। এখানে গার্ডওয়াল তৈরির জন্যই সাংসদ দেবের কাছে অর্থ সাহায্যের আবেদন জানায় স্কুল। গত ফেব্রুয়ারিতে পুকুরের পাশে গার্ডওয়াল তৈরির জন্য তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দের অনুমোদন দেন দেব। তবে স্কুলটি এখনও সাংসদ-তহবিলের অর্থ পায়নি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ ফজলুল হকের কথায়, ‘‘অনেকবার মেদিনীপুরে কালেক্টরেটে যাওয়া হয়েছে। সুরাহা হয়নি। নবান্নে গ্রিভান্স সেল খোলা হয়েছে জানতে পেরেই ই- মেল মারফত সেখানে চিঠি পাঠাই। সমস্যার কথা জানাই।’’ তাঁর কথায়, ‘‘স্কুলের অদূরেই দেবের বাড়ি। জানতাম, স্কুলের জন্য অর্থ সাহায্যের আবেদন জানানো হলে তিনি সাড়া দেবেন।’’
জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, দেবের সাংসদ তহবিলে এখন ৫ লক্ষ ২৯ হাজার ১০ টাকা ৫০ পয়সা রয়েছে। তাই স্কুলকে টাকা বরাদ্দ করা যায়নি। কেন এই অবস্থা? ওই সূত্র জানিয়েছে, সাংসদেরা এলাকা উন্নয়নের জন্য তাঁদের তহবিলে বছরে ৫ কোটি টাকা করে পান। সেই অনুযায়ী পাঁচ বছরে দেবের ২৫ কোটি টাকা পাওয়ার কথা। তবে তিনি এখনও পর্যন্ত পেয়েছেন ১৭ কোটি ৫০ লক্ষ। ওই সূত্রে খবর, ২০১৭-২০১৮ অর্থবর্ষে প্রথম কিস্তির টাকা (২ কোটি ৫০ লক্ষ) এসেছিল। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আসেনি। ২০১৮- ২০১৯ অর্থবর্ষে আবার দু’টি কিস্তির কোনও টাকাই আসেনি। যদিও আগের বরাদ্দের যাবতীয় ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট (ইউসি) জমা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘মহিষদার ওই স্কুলকে মোট ৩০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। প্রথম পর্যায়ে ১৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে। অথচ, সাংসদ- তহবিলে এখন ওই পরিমাণ অর্থই নেই। তাই স্কুলকে অর্থ দেওয়া সম্ভব হয়নি। সাংসদ তহবিলে অর্থ এলেই ওই স্কুলকে দিয়ে দেওয়া হবে।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy