Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

অধরা দুই, পথে কুড়মি সমাজ

শুক্রবার খড়্গপুর গ্রামীণের সাদাতপুর ফাঁড়ির কাছে কলকাতা-মুম্বই ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে সকাল সাড়ে দশটা থেকে শুরু হয় অবরোধ। আড়াইটে পর্যন্ত চলে ওই কর্মসূচি। অবরোধের জেরে জাতীয় সড়কের চৌরঙ্গি থেকে মানিকপাড়া পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।

জাতীয় সড়ক অবরোধ কুড়মি সমাজের। নিজস্ব চিত্র

জাতীয় সড়ক অবরোধ কুড়মি সমাজের। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ০২:৩৫
Share: Save:

কিশোরীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে আগেই অবরোধ করেছিল গ্রামবাসীরা। পুলিশি আশ্বাসের পরে তিন দিন পেরিয়ে গেলেও দুই অভিযুক্ত এখনও অধরা। এ বার তাই কিশোরীর পাশে দাঁড়াল আদিবাসী কুড়মি সমাজ। গ্রেফতারের দাবিতে ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ হল জাতীয় সড়ক।

শুক্রবার খড়্গপুর গ্রামীণের সাদাতপুর ফাঁড়ির কাছে কলকাতা-মুম্বই ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে সকাল সাড়ে দশটা থেকে শুরু হয় অবরোধ। আড়াইটে পর্যন্ত চলে ওই কর্মসূচি। অবরোধের জেরে জাতীয় সড়কের চৌরঙ্গি থেকে মানিকপাড়া পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। অধরা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে— পুলিশের এই আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায়।

গত রবিবার হারিয়ে যাওয়া মানিব্যাগ খুঁজতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন কলাইকুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশবচকের এক কিশোরী। সন্ধ্যার মুখে মাজিপাড়ার কাছে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরীর পথ আটকায় তিন যুবক। অভিযোগ, এর কিশোরীর শ্লীলতাহানি করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা। তবে গ্রামবাসীরা এগিয়ে যেতেই চম্পট দেয় তারা। ওই কিশোরী এই আদিবাসী কুড়মি সমাজের সদস্য হওয়ায় আন্দোলনে নেমেছে কুড়মি সমাজ।

অবশ্য এই অবরোধ প্রথম নয়। এর আগেও গত সোমবার কিশোরীর শ্লীলতাহানিতে যুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধে নেমেছিল গ্রামবাসীরা। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শেখ মুস্তাক ওরফে পিন্টুকে বৃহস্পতিবার সকালে পাকড়াও করে গ্রামবাসীরা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এর পরেও পুলিশ কেন বাকি দু’জনকে গ্রেফতার করতে পারছে না— এই প্রশ্ন তুলে এ দিন সরব হয় আদিবাসী কুড়মি সমাজ। সংগঠনের খড়্গপুর-১ ব্লকের সভাপতি তুষার মাহাতো বলেন, “আমাদের সমাজের মেয়েকে যারা কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছে তাঁদের সকলকে গ্রেফতার করতে হবে। কিন্তু পুলিশ দু’দিনের মধ্যে সকলকে গ্রেফতারের আশ্বাস দেওয়ার পরেও পারেনি। তাই আমরা অবরোধ করেছি। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছি।” কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন খড়্গপুরের এসডিপিও রাহুল দে। এলাকায় পৌঁছন আদিবাসী কুড়মী সমাজের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাতো। তিনি বলেন, “এখনও দু’জন অধরা। তাহলে মহিলাদের নিরাপত্তা কোথায়! তাই অবরোধ করেছিলাম।’’ এসডিপিও রাহুল দে বলেন, “বাকি দুই অভিযুক্ত পলাতক। বলেছি এ ভাবে অবরোধ হলে তো অভিযুক্তদের খোঁজার সময় পাওয়া যাবে না। নির্দিষ্ট সময়সীমা দিইনি। তবে দ্রুত সকলকে গ্রেফতার করব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rape Protest Kurmi Society
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE