প্রচারের ফাঁকে গলা ভিজিয়ে নেওয়া। নিজস্ব চিত্র
গরমের ব্যাটিংয়ে এই এপ্রিলেই স্লগ ওভারের মেজাজ! এর মধ্যেই টানা প্রচার চলছে। দীর্ঘদিন সবংয়ের বিধায়ক ছিলেন। রোদ-গরমে ভোট প্রচার তাঁর কাছে নতুন নয়। মেদিনীপুরের সেতৃণমূল প্রার্থী মানস ভুঁইয়া ওবলছেন, ‘‘এ বারের গরমটা ভ্যাপসা। সেটাই যা একটু অস্বস্তির।’’
রোদের মধ্যেই মাইলের পর মাইল হাঁটতে হচ্ছে। শরীর সুস্থ রাখতে খাবারের ব্যাপারে তাই যথেষ্ট সতর্ক মানস। নিজে ডাক্তার। তাই বোঝেন এই সময়ে কী করণীয়। সঙ্গে জলের বোতল থাকছে। আর সকালে তাঁর চা চাই-ই চাই। লাল চা (লিকার)। দু’-তিন কাপ হলেও মন্দ হয় না। টিফিনে কখনও মুড়ি, কখনও রুটি। সঙ্গে তরকারি থাকে। কখনও কখনও চাউমিনও খান। দুপুরে আর ভারী খাবার খাওয়া হয় না। প্রায়দিনই চানাচুর মেখে মুড়ি খেয়ে নেন। সঙ্গে থাকে শশা। বিকেলেও তাঁর চা চাই। তবে এ বার দুধ চা। মানসের কথায়, ‘‘লাল চা- ই বেশি খাই। দুধ চা-টা ওই বিকেলের দিকে এক-দু’কাপ খাই।’’ ভারী খাবার খাওয়া একবারই, সেই রাতে। মানসের কথায়, ‘‘রাতে ভাত, ডাল, মাছ, তরকারিতেই স্বচ্ছন্দ।’’
ভ্যাপসা গরম। তাই সঙ্গে দু’টো তোয়ালে রাখেন। এর মধ্যে একটা থাকে কাঁধে। ঘেমে গেলে মাঝেমধ্যে ঘাম মুছে নেন তাতে। পাজামা, পাঞ্জাবি পরতেই ভালবাসেন। পোশাকের একটা ‘সেট’ গাড়িতে থাকে। কোনও কারণে ভিজে গেলে পাল্টে নেন। কখনও কর্মীদের বকাঝকা করেন। কখনও আবার বুকে টেনে আদর করেন। মানস এমনই বৈপরীত্যে ভরা। কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১৯৬৮-এর এমবিবিএস। যাঁর ‘হুঙ্কারে’ দলের ঘনিষ্ঠরাও কাঁটা হয়ে থাকেন, সেই তিনিই চূড়ান্ত ‘রোমান্টিক’
মোবাইলে শ্রীমতী ভুঁইয়ার নাম ভেসে উঠলে। ‘গীতা বলো...’ সম্বোধনে তখন তিনি বাধ্য স্বামী। গীতাই এখন সবংয়ের বিধায়ক।
প্রচারে বাড়ি বাড়ি যেতে হচ্ছে। সবংয়ের ভূমিপুত্র বলছিলেন, ‘‘ঘরে বসে কি ভোট হয়? আমার লোকের দরজায় তো আমাকে যেতেই হবে। বলতে হবে, আয় বাবু ভোটটা দে! তবে তো ভোট!’’ প্রচার সেরে বাড়ি ফিরতে ফিরতে রোজই রাত এগারোটা-সাড়ে এগারোটা হয়ে যাচ্ছে। গরমে সুস্থ থাকছেন কী করে? মানস বলেন, ‘‘ডাবের জল খাই। সঙ্গে ওআরএস থাকে।’’
ভোট বলে কথা। শরীর তো ঠিক রাখতেই হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy