শনিবার খড়্গপুরের কর্মিসভায় তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। নিজস্ব চিত্র
রেল শহরে তৃণমূলকে বার বার ভুগিয়েছে গোষ্ঠীকোন্দল। গত লোকসভা ও বিধানসভা দুই নির্বাচনেই খড়্গপুর সদর বিধানসভা আসনে এগিয়েছিল বিজেপি। তাই এ বার এই আসনটিকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। আসন্ন লোকসভা ভোটে মেদিনীপুর আসনে সহজ জয়ের জন্য এই আসনে ‘লিড’ পাওয়া খুবই জরুরি তৃণমূলের কাছে।
সেই কথা মাথায় রেখেই শনিবার খড়্গপুর শহরের বিদ্যাসাগর আবাসন প্রাঙ্গণে কর্মিসভা করল তৃণমূল। সেখানে প্রার্থী মানস ভুঁইয়াকে পাশে নিয়ে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী কোন্দল মিটিয়ে ভোটযুদ্ধে লড়ার ইঙ্গিত দিলেন।
তিনি বললেন, ‘‘চারজন পরীক্ষিত নেতা রয়েছেন খড়্গপুর শহরে। রবি, মুনমুন (দেবাশিস চৌধুরী), প্রদীপ ও জহর। আমি দেখতে চাই, এই চার জনের নেতৃত্বে খড়্গপুর বিধানসভায় তৃণমূল এগিয়ে থেকে বাংলা থেকে বিজেপিকে ধুয়ে দিয়েছে।” তৃণমূলের অন্দরের খবর, জহর পাল, প্রদীপ সরকার ও দেবাশিস চৌধুরীর মধ্যে গোষ্ঠী রাজনীতি অনেক দিনের। পরে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এসে শহর সভাপতি হয়েছেন রবিশঙ্কর পাণ্ডে। ফলে সেখানেও রয়েছে নতুন-পুরনো বিরোধের অঙ্ক।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ দিন মঞ্চে বেশ কিছুক্ষণ ওই চার নেতার সঙ্গে আলোচনা করেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি। বক্তৃতার শেষে সুব্রত বলেন, ‘রাজনৈতিক খিদে থাকা অপরাধ নয়। কিন্তু দল যখন ডাক দেয়, তখন কোনও কিছু না ভেবে চোখের জলকে বাড়ির বিছানায় ফেলে দিয়ে তৃণমূলের পতাকা ও প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাবেন।”
মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে মূল প্রতিপক্ষ যে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ, সেটা স্পষ্ট হয়েছে এ দিনের কর্মিসভায়। এ দিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘বিজেপির একদল মানুষ আমার কাছে এসেছে। তাঁরা বলছে একটা লোক কোথা থেকে উড়ে এসে বিজেপির প্রার্থী হয়েছে। তাই তাঁরা তৃণমূলকে ভোট দেবে।’’
তবে বিজেপি প্রার্থীকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করবেন না দাবি করে তৃণমূল প্রার্থী মানস ভুঁইয়া কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “প্রতিটি ওয়ার্ডে দিলীপ ঘোষ কী কাজ করেছে সেই তালিকা টাঙান। একইসঙ্গে খড়্গপুর পুরসভা কী করেছে সেই তালিকাও দিন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy