জঙ্গলমহলে পর্যটন প্রসারে এ বার পর্যটকদের জন্য অতিথিশালা বানাবে ঝাড়গ্রাম পুরসভা। অতিথিশালাগুলিতে স্বল্প ভাড়ায় থাকার সুবিধার সঙ্গে সঙ্গে সুলভ দামে খাবারও মিলবে। এ জন্য রাজ্য সরকারের কাছে ৬ কোটি টাকা চেয়ে আবেদনও করা হয়েছে।
ঝাড়গ্রামে সরকারি অতিথিশালাগুলির ঘর ভাড়া বেশি। ঘরের সংখ্যাও হাতে গোনা। অন্য দিকে, রাজবাড়ির ঐতিহ্যবাহী বেসরকারি অতিথিশালার ভাড়াও নিম্নমধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। বেসরকারি লজ-হোটেলের ভাড়া তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই কম। কিন্তু সেখানেও ঘরের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। ফলে, অগ্রিম বুকিং না করে ঝাড়গ্রাম বেড়াতে এসে সমস্যায় পড়েন সাধারণ ভ্রমণার্থীরা। গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় পর্যটকরা ঝাড়গ্রামে আসছেন। কিন্তু সেই অর্থে ঝাড়গ্রামে উপযুক্ত পর্যটন পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি বলে বলে অভিযোগ করছেন পর্যটকরাই। এ বার ঝাড়গ্রাম নতুন জেলা হয়েছে। পুরসভাও তাই পর্যটকদের জন্য সুলভ অতিথিশালা তৈরি করতে আগ্রহী।
এক সময় ঝাড়গ্রাম পুরসভার নিজস্ব সুলভ অতিথিশালা ছিল। শহরের কদমকানন এলাকায় ‘বনানী’ নামে দোতলা ওই অতিথি নিবাসটিতে সুলভ দামে থাকা ও খাওয়ার বন্দোবস্ত ছিল। জঙ্গলমহলের অশান্তিপর্বে ২০১০ সালে ওই অতিথিশালাটি সিআরপি-র ১৮৪ ব্যাটালিয়নের সদর-ঘাঁটি হয়ে যায়। শান্তি ফেরায় গত কয়েক বছরে জঙ্গলমহলে পর্যটকদের সংখ্যা বহুগুণ বেড়েছে। কিন্তু বনানীতে স্থায়ী ভাবে সিআরপি-র সদর কার্যালয়টি থেকে গিয়েছে। ফলে, অরণ্যশহরে পর্যটকদের জন্য সেই অর্থে সুলভ দামে সরকারি থাকার জায়গা নেই। যেগুলি আছে, সেগুলি বিলাসবহুল ও ব্যয়সাপেক্ষ।
ঝাড়গ্রামের এক বেসরকারি পর্যটন সংস্থার কর্তা সুমিত দত্ত মানছেন, ঝাড়গ্রামে এখন প্রচুর পর্যটক আসছেন। কিন্তু সাধারণ পর্যটকদের জন্য সুলভ মূল্যে থাকার জায়গাটা বড়ই সীমিত। তিনি বলেন, “এক সময় মাওবাদী অশান্তি পর্বে হোটেল ব্যবসার প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। তাই বেসরকারি স্তরে নতুন করে ব্যবসা বাড়ানোর ঝঁুকি নিচ্ছেন না অনেকে। ঝাড়গ্রাম জেলা হয়েছে, এবার আশা করছি, পর্যটন শিল্পে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়বে।”
ঝাড়গ্রামের পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেব বলেন, “সুলভ অতিথিশালা তৈরির জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আমরা বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy