প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের জুতো দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন মাস খানেক আগে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী নির্দিষ্ট মাপের জুতো দেওয়ার জন্য প্রতিটি প্রাথমিক স্কুল ও শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের পড়ুয়াদের পায়ের মাপও তোলা হয়েছিল। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অধিকাংশ স্কুলে জুতো এলেও মহিষাদল পশ্চিম চক্রের অন্তর্গত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর জুতো এসেছে অনেক কম। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে সমস্যা। প্রাথমিক পড়ুয়াদের জুতো দেওয়া নিয়ে সমস্যার ফলে ওই দুই চক্রের শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভও তৈরি হয়েছে।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিষাদল পশ্চিম চক্রের ৬৯৯৪ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে ৬০৯৫ জনের জুতো এসেছে। হলদিয়া চক্রের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির ৬৪৯০ জন ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এখনও জুতা আসেনি। মহিষাদল পশ্চিম চক্রের অধীনে থাকা আলাশুলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরূপকুমার ভৌমিকের অভিযোগ, ‘‘জেলার অধিকাংশ প্রাথমিক পড়ুয়াদের জুতো বিলি হয়ে গিয়েছে। অথচ আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা তা পাচ্ছে না। এ নিয়ে আমাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।’’ সমস্যা নিয়ে মহিষাদল পশ্চিম ও হলদিয়া চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অমৃত সামন্ত বলেন, ‘‘মহিষাদল পশ্চিম চক্রের স্কুলগুলির একটি ক্লাসের ছাত্রীদের জুতো সরবরাহ না থাকায় কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে। তবে দু’একদিনের মধ্যে ওই জুতো পাওয়া যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy