হলদিা আদালত থেকে বেরনোর পথে ধৃত(মাঝখানে) মিঠুন।
ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে উত্তাল গোটা রাজ্য। তার মধ্যেই নন্দীগ্রামে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত। ভোটপর্ব চলাকালীন খুন হন তৃণমূল কর্মী রবীন্দ্রনাথ মান্না। তার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিলেন মূল অভিযুক্ত, ২৬ বছর বয়সি রাধাকান্ত দাস ওরফে মিঠুন। বৃহস্পতিবার সিআইডি-র জালে ধরা পড়েছেন তিনি।
গত ২৭ মার্চ, আট দফায় নির্বাচনের প্রথম দফায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র নন্দীগ্রামে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন রবীন্দ্রনাথ। গুরুতর অবস্থায় কলকাতার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু শেষমেশ বাঁচানো যায়নি। সেই সময় দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী।
পরবর্তী কালে সিআইডি-র হাতে তদন্তভার যায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার খেজুরির হেড়িয়া এলাকার গোপন ডেরা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। শুক্রবার তাঁকে হলদিয়া আদালতেও তোলা হয়। তবে কী কারণে রবীন্দ্রনাথকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে, তা নিয়ে এখনও ধন্দে তদন্তকারীরা।
নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্ত মিঠুন এলাকায় বিজেপি-র সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত। রবীন্দ্রনাথ তৃণমূল করতেন বলেই তাঁকে মারধর করা হয়। সেই মারেই মৃত্যু হয় তাঁর।’’
যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা তমলুকে বিজেপি-র জেলা সহ-সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, ‘‘যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। কিন্তু অপরাধীদের ধরার নামে বিজেপি কর্মীদের বেছে বেছে হেনস্থা করা হচ্ছে। এলাকায় বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয় না কেন? প্রশাসন সুধু রাজনৈতিক আক্রোশ মেটাতেই সক্রিয়। এই পরিস্থিতির পাল্টানো দরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy