Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু, নেগেটিভ এডিএম

পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত বৃদ্ধের কয়েকদিন আগে জ্বর-সহ অন্য উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। ১৬ জুলাই দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁর লালারস নেওয়া হয়।

গণ্ডিবদ্ধ এলাকার বাসিন্দাদের কাছে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন পরিজনেরা। ঘাটাল শহরে। ছবি: কৌশিক সাঁতরা

গণ্ডিবদ্ধ এলাকার বাসিন্দাদের কাছে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন পরিজনেরা। ঘাটাল শহরে। ছবি: কৌশিক সাঁতরা

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২০ ০৫:১৯
Share: Save:

উদ্বেগ কমছে না দাসপুরে। রবিবার শালবনির করোনা হাসপাতালে মৃত্যু হল দাসপুরের এক বৃদ্ধের।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, মৃতের নাম রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল (৭৪)। করানোয় আক্রান্ত হওয়ায় তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল শালবনির করোনা হাসপাতালে। জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌমশঙ্কর সারঙ্গী বলেন, “রবিবার শালবনি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি দাসপুরে এলাকার বাসিন্দা। নিয়ম মেনে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। মৃতের অন্য কোনও উপসর্গ ছিল কিনা,তা দেখা হচ্ছে।” শনিবার ঘাটাল মহকুমায় নতুন করে আবার ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ওই ১৫ জনের মধ্যে ১০জনই দাসপুরের বাসিন্দা। শনিবার পর্যন্ত ঘাটাল মহকুমায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯৩। মহকুমায় কন্টেনমেন্ট এলাকা ৬১টি।

পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত বৃদ্ধের কয়েকদিন আগে জ্বর-সহ অন্য উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। ১৬ জুলাই দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁর লালারস নেওয়া হয়। শনিবার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসায় তাঁকে শালবনি করোনা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়। এ এ দিন সকালে তিনি মারা যান ।মৃতের এক ছেলেও করোনা আক্রান্ত। তিনিও শানবনি করোনা হাসপাতালে ভর্তি।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগেই ঘাটাল থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। আক্রান্ত সিভিক পুলিশ শালবনিতে চিকিৎসাধীন। শনিবার রাতে সিভিকের পরিবারের পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছেন। দাসপুরে আক্রান্ত দশ জনের ছ’জন পরিযায়ী শ্রমিক। ১৩ জুলাই তাঁরা মুম্বই, গুজরাত থেকে ফিরেছিলেন। এ দিন আক্রান্তদের শালবনি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

বেলদার বাসিন্দা বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার এক সদস্যা গত ১৫ জুলাই করোনা 'আক্রান্ত' হন। তাঁকে শালবনি করোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। পরের দিন নেত্রীর সংস্পর্শে আসা ও পরিবারের অন্যান্যদের বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে লালারসের নমুনা নেয়ে স্বাস্থ্য দফতর। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নেগেটিভ এলেও আঠারো বছর বয়সী এক মেয়ের 'পজিটিভ' এসেছে। এ দিন তাঁকে মেদিনীপুর আয়ুষ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তবে এর মধ্যে আশার আলোও রয়েছে। করোনায় সংক্রমিত বিডিও- র প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সংস্পর্শে আসায় এক অতিরিক্ত জেলাশাসক-সহ জেলার ১৪ জন প্রশাসনিক আধিকারিকের করোনা পরীক্ষা হয়েছিল। সকলেরই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। সম্প্রতি করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা- ১ ব্লকের বিডিও অভিষেক মিশ্র। দেখা যায়, গত ৮ জুলাই মেদিনীপুরে এসেছিলেন অভিষেক। গিয়েছিলেন জেলা প্রশাসনের সদর দফতর কালেক্টরেটে। একে একে তিনি অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রণব বিশ্বাস, একশো দিনের কাজ প্রকল্পের জেলা আধিকারিক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, জেলা যুবকল্যাণ আধিকারিক দীপ ভাদুড়ি প্রমুখের দফতরে যান। ওই আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন। বিডিও- র প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের নামের তালিকা তৈরি হয়। মেডিক্যালের এক সূত্রে খবর, এঁদের মধ্যে ১৪ জন প্রশাসনিক আধিকারিকের করোনা পরীক্ষা হয় শনিবার। তাঁদের কারওরই অবশ্য উপসর্গ ছিল না। প্রত্যেকের রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় স্বস্তি ফিরেছে প্রশাসনিক মহলে।

শনিবার সকালে নমুনা দেওয়া, রাতে রিপোর্ট আসার আগে পর্যন্ত নিশ্চয়ই উদ্বেগে ছিলেন? রবিবাসরীয় সকালে ওই আধিকারিকদের একজনের স্বীকারোক্তি, ‘‘ইটস্ রিয়্যালি এ ডে অফ টেনশন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Salbani
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE