দিন কয়েক আগে শালবনিতে সভা করে তৃণমূলের সমালোচনা করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শ্রীনু হত্যা মামলার রেশ টেনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছিলেন, ‘‘গ্রেফতার করা তো অনেক দূর, দিলীপ ঘোষকে একবার ছুঁয়ে দেখাক। উনি (মুখ্যমন্ত্রী) দু’মাস ধরে লাফালাফি করে পশ্চিমবাংলায় যা করতে পারেননি, দিলীপ ঘোষ দু’দিনে তা করে দেখিয়ে দেবে!’
সোমবার সেই শালবনিতে সভা করেই দিলীপ ঘোষকে পাল্টা জবাব দিল তৃণমূল। এ দিনের সভায় বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার মন্তব্য, ‘‘দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুরের ছেলে, এটা মনে হলে আমার দুঃখ হয়। ওরা (বিজেপি) পশ্চিমবাংলার পবিত্র মাটিকে কলঙ্কিত করছে। জঙ্গলমহলে নতুন করে অশান্তি করতে চাইছে।’’ তৃণমূলের সমাবেশে ভিড় হয়েছিল ভালই। মানসবাবুর পাশাপাশি ছিলেন অজিত মাইতি, দীনেন রায়, নির্মল ঘোষ প্রমুখ। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলের প্রায় সকলেই দিলীপবাবুকে একহাত নেন। মানসবাবু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মা। বাংলার মা-কে অপমান করলে মানুষ ছেড়ে কথা বলবে না।’’ বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএম এক হয়ে রাজ্যকে অশান্ত করতে চাইছে বলেও এ দিন অভিযোগ করেন মানসবাবু। অধীর চৌধুরী-আব্দুল মান্নানকেও বিঁধে তাঁর মন্তব্য, “জগাই-মাধাই সিপিএমের রক্তাক্ত হাত ধরছে।”
এ দিন জেলাতেই কর্মসূচি ছিল দিলীপবাবুর। দুপুরে ঝাড়গ্রামে দলীয় সাংগঠনিক কর্মসূচিতে এসেছিলেন তিনি। মানস ভুঁইয়াকে কটাক্ষ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “ভাড়া করা সৈনিক দিয়ে লড়াই জেতা যায় না। খুনের মামলায় অভিযুক্ত হতেই যিনি দিদির আঁচলের তলায় ঢুকে পড়লেন, তিনি বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করবেন, এটা ভাবার কোনও কারণ নেই।” দিলীপবাবুর আরও খোঁচা, “কংগ্রেসকে ডুবিয়ে এসেছেন। তৃণমূলকেও ডোবাতে ওঁর বেশি সময় লাগবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy