E-Paper

ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্রের কাজে বাধা, ফের বিক্ষোভ

এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ কাঁথি-১ এর বিডিও অমিতাভ বিশ্বাসের নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল জুনপুটে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে যাচ্ছিল।

নিজস্ব সংবাদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৪ ০৭:৫৯
বিক্ষোভের মুখে জুনপুটে ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্র থেকে ফিরে যাচ্ছেন কাঁথি-১ বিডিও অমিতাভ বিশ্বাস-সহ আধিকারিকেরা। নিজস্ব চিত্র

বিক্ষোভের মুখে জুনপুটে ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্র থেকে ফিরে যাচ্ছেন কাঁথি-১ বিডিও অমিতাভ বিশ্বাস-সহ আধিকারিকেরা। নিজস্ব চিত্র

জুনপুটে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের কাজ পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ‘ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের অদূরে ওই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। বিক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত পিছু হটেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।

এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ কাঁথি-১ এর বিডিও অমিতাভ বিশ্বাসের নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল জুনপুটে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে যাচ্ছিল। ছিল উপকূল রক্ষী বাহিনীর একটি দলও। ওই এলাকায় উৎক্ষেপণ কেন্দ্র না করার দাবি আগেই সরব হয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। অশান্তি এড়াতে এ দিন তাই জুনপুট বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রকল্প এলাকা পর্যন্ত প্রচুর পুলিশ এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার কর্মী মোতায়েন করা হয়। এর পরেও জড়ো হন স্থানীয়েরা। তাঁরা বিডিও-সহ কাঁথি-১ ব্লকের কয়েকজন আধিকারিককে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে অদূরে আটকে দেন। প্রাথমিকভাবে বিডিও ওই মৎস্যজীবীদের বোঝানার চেষ্টা করেন যে, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র গড়ে উঠলে তাঁদের কোনও ক্ষতি হবে না। এতে শান্ত হননি বিক্ষোভকারীরা। বরং ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র বাতিলের দাবিতে স্লোগান তোলেন।

আন্দোলনকারীদের তরফে অমিত কুমার মান্না নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘প্রকল্প কতটা জায়গা জুড়ে হবে এবং ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ হলে এলাকার মানুষজন কোথায় যাবেন, কী করবেন, তার আশ্বাস দিতে হবে প্রশাসনিক আধিকারিকদের। এখন পর্যন্ত কেউই তা দিতে পারেননি। এলাকাবাসী আলোচনায় বসে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তের কথা দুদিনের মধ্যে জানাব।’’ বিক্ষোভের মুখে পড়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি কাঁথি -১ বিডিও অমিতাভ বিশ্বাস।

স্থানীয় বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রদীপ কুমার কুণ্ডু বলছেন, ‘‘আসলে এলাকাবাসী চাইছেন ক্ষতিপূরণ-সহ কত জমি অধিগ্রহণ করা হবে, তা স্পষ্ট ভাবে জানানো হোক।’’ এ ব্যাপারে কাঁথির মহকুমাশাসক শৌভিক ভট্টাচার্য বলছেন, ‘‘লঞ্চিং প্যাডের কাছে ডিআরডিও ফেন্সিংয়ের কাজ করতে চেয়েছিল। আর উপকূল রক্ষ্মী বাহিনী একটি রাস্তা করতে চাইছে। তাই সাধারণ মানুষকে বোঝাতে গিয়েছিলেন আধিকারিকেরা। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তা সম্ভব হয়নি। ওঁরা দুদিনের মধ্যে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন বলেছেন।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Junput DRDO

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy