প্রতীকী ছবি।
সরকারি নির্দেশে মিড-মে মিল চালু হয়েছে প্রাথমিক ও হাইস্কুলে। কিন্তু সেই মিলের জন্য প্রয়োজনীয় সরকারি বরাদ্দ করা অর্থ সব সময় সময়ে মেলে না বলে হামেশাই অভিযোগ করেছে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন। তাদের দাবি ছিল, প্রতি মাসের শুরুতেই সেই মাসের জন্য বরাদ্দ অর্থ দেওয়ার ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। কার্যত সেই দাবি মেনে চলতি মার্চ থেকে মিড-ডে মিলের জন্য স্কুলগুলিকে মাসের প্রথম সপ্তাহেই অর্থ দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। এতে জেলার কয়েক হাজার প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ ও শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরে সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত তিন হাজার ২৬৫টি প্রাথমিক এবং এক হাজারের বেশি মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। এছাড়াও প্রায় দেড় হাজার শিশুশিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। শিশু শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল খাওয়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে। সে জন্য শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়া প্রতি দিনে বরাদ্দ ৪ টাকা ৩৫ পয়সা এবং ষষ্ট থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়া প্রতি ৬ টাকা ৫১ পয়সা বরাদ্দ করেছে সরকার।
বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ ছিল, প্রতি মাসে মিড-ডে মিলের খরচের হিসাব পরের মাসে ৩ তারিখের মধ্যে জমা দেওয়ার পর সেই টাকা পেতে মাসের শেষ সপ্তাহ গড়িয়ে যেত। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্কুলের কাছাকাছি দোকানে ধারে জিনিসপত্র কিনতে হতো তাঁদের। যা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে বেশ অস্বস্তিকরও বটে। এ জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা মিড-ডে মিলের এই খাতে বরাদ্দ অগ্রিম দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
পাঁশকুড়ার ঘোষপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুপ্রতিম মান্না বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের মিড-ডে মিলের সামগ্রী কিনতে দোকানে ধার রাখা রেওয়াজ হয়ে গিয়েছিল। মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ওই খাতে টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তা মিললে নগদে জিনিসপত্র কেনাকাটা করা যাবে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
শিক্ষকদের ওই দাবি মেনে চলতি মার্চ থেকেই প্রথম সপ্তাহে অগ্রিম অর্থ দেওয়ার ব্যবস্থা করছে জেলা প্রশাসন। পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (ট্রেজারি) শেখর সেন বলেন, ‘‘মিড-ডে মিলের জিনিসপত্র কেনার জন্য এখন প্রতি মাসের টাকা সেই মাসের প্রথম সপ্তাহের পাঁচ তারিখের মধ্যে স্কুলগুলিকে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর ফলে মিড–ডে মিলের জিনিসপত্র নগদে কেনার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। সারা জেলায় চলতি মাস থেকে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।’’
প্রশাসনের ওই পদক্ষেপে খুশি শিক্ষক সংগঠন। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সাধারণ সম্পাদক অরূপকুমার ভৌমিক বলেন, ‘‘মিড–ডে মিল বাবদ খরচের অর্থ অগ্রিম দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলাম। প্রশাসন তাতে পদক্ষেপ করায় খুশি। এর ফলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা অস্বস্তির হাত থেকে রেহাই পাবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy