সম্মতি। ছোট্ট এই শব্দই যেন ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের প্রাণভোমরা। এক আধজন তো নয়। প্রায় দশ হাজার জন জমিদাতার সম্মতি আদায় করাই এখন মূল লক্ষ্য প্রশাসনের। সেই সম্মতি আদায়ে আদাজল খেয়ে লেগে পড়েছেন কর্তাব্যক্তিরা। তৈরি হয়েছে দল। ছোট ছোট দল করে তাঁরা জমিদাতাদের দুয়ারে হাজির হবেন। বোঝাবেন, ঘাটাল মাস্টার হলে কী কী সুবিধা হবে। পরিমাণ যাই হোক না কেন তাঁর ছোট্ট অবদান (এ ক্ষেত্রে জমি) সেতুবন্ধে (ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান) কাজে লাগবে তা পাখিপড়ার মতো করে বুঝিয়ে আদায় করা হবে জমিদাতার সম্মতি। জমি আন্দোলনের হাত ধরেই রাজ্যে পালাবদল হয়েছে। তাই জমি যে কতটা স্পর্শকাতর তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেয়ে ভাল কেউ বোঝেন না। তিনি নিজে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজ্য নিজের টাকা দিয়েই ওই প্ল্যান রূপায়ণ করবে। এ ক্ষেত্রে দরকার জমি। কিন্তু জমি দরকার হলেও কোনও ভাবেই যে জমির মালিকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করা হবে না তা গোড়া থেকেই স্পষ্ট করেছে প্রশাসন। বারবার তারা জোর দিচ্ছে জমিদাতাদের সম্মতি এবং সহমতের উপরে। কিন্তু প্রায় দশ হাজার জনের সম্মতি আদায় করা তো চাট্টিখানি কথা নয়।
জন প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত কর্তাব্যক্তিদের মতে, কাজ বা লক্ষ্যমাত্রা যতই বড় মনে হোক না কেন মিলেমিশে করলে তা আর তেমন কঠিন মনে হয় না। অর্থাৎ কাজ করে নেওয়া।এ ক্ষেত্রে ছোট ছোট দল করে প্রত্যেক জমি মালিকের ঘরে পৌঁছতে চায় প্রশাসন।জেলা কমিটির পর এ বার তাই ব্লক (ব্লক লেবেল মনিটারিং ও শহর মনিটারিং কমিটি) ও শহর স্তরেও পৃথক সাব কমিটি তৈরি হয়ে গেল। সংশ্লিষ্ট কমিটি প্রত্যেক জমি মালিকের ঘরে ও পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে সরকারে ভাবনার কথা জানাবেন। জমি মালিকদের নিয়ে বৈঠক করেও প্রকল্প রুপায়ণে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানাবেন।
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ণে জমি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে সরকারি জমিও হাতে রয়েছে। তবে এর পাশাপাশি প্রয়োজন রায়তি জমিও।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)