মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যুর পিছনে রয়েছে জাল স্যালাইনই, অভিযোগ সিপিএমের ছাত্র, যুব, মহিলা সংগঠনের। এ নিয়ে সুর আরও চড়াল তারা। সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘আমরা জানতে চাই, জাল স্যালাইনের বরাত কে দিয়েছিল, কাকে দিয়েছিল, কে সরবরাহ করল, কাদেরকে জামাইয়ের মতো করে রেখেছে এরা (স্বাস্থ্য দফতর)। এটা জানাতেই হবে।’’
মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার মেদিনীপুরে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল সিপিএমের ছাত্র, যুব, মহিলা সংগঠন। জেলাশাসকের দফতর অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। মিছিল শুরু হয়েছে পঞ্চুরচকের সামনে থেকে। নেতৃত্বে ছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, ফুয়াদ হালিম প্রমুখ। শহরের বিভিন্ন পথ ঘুরে মিছিল পৌঁছয় কালেক্টরেট মোড়ে, জেলাশাসকের দফতরের সামনে। এখানে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। আন্দোলনকারীরা কালেক্টরেট চত্বরে ঢুকতে চেয়েছিলেন। পুলিশ তাঁদের ‘বাধা’ দিয়েছে। পুলিশের সঙ্গে একাংশ কর্মী, সমর্থকের ধস্তাধস্তিও হয়েছে।
ডিওয়াইএফের রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘‘আমাদের এই আন্দোলন তো সাসপেনশন রাখা বা তোলার জন্য নয়। এই আন্দোলন জাল স্যালাইন কে তৈরি করল, কে বরাত দিল, কে হাসপাতালে আনল, সেটা জানার জন্য।’’ স্যালাইন কাণ্ডকে আড়াল করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার, অভিযোগ মীনাক্ষীর। তিনি বলেন, ‘‘সরকার স্বচ্ছ হলে তদন্ত হবে। না হলে দাবিয়ে দেবে। কখনও সিভিককে বলির পাঁঠা করে দিচ্ছে। কখনও জুনিয়র ডাক্তারকে বলির পাঁঠা করে দিচ্ছে। ’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)