সরকারি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সরিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক-কর্মীদের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিতর্কে জড়ালেন তমলুকের বিধায়ক তথা রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র।
মঙ্গলবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দূর নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানের সঙ্গে তমলুকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালের মধ্যে নবনির্মিত ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ)’এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সেই উপলক্ষেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সৌমেনবাবু। অনুষ্ঠান শুরুর পর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, জেলা হাসপাতাল সুপার ও জেলাশাসক বক্তব্য রাখার পর বক্তব্য রাখতে শুরু করেন সৌমেনবাবু। সেই সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের তিনি অনুরোধ করেন তাঁর পরবর্তী বক্তব্য যাতে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা না হয়। মন্ত্রীর অনুরোধ মেনে অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপরই সৌমেনবাবু বলেন, “আমার বিধানসভা এলাকার মধ্যে জেলা হাসপাতাল রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতিতে আমাকে রাখা হয়নি।” মন্ত্রীর ক্ষোভের লক্ষ্য যে আসলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী তা বুঝতে দেরি হয়নি জেলা হাসপাতালের কর্তাদের। তবে হাসপাতালের কোনও কর্তাই প্রকাশ্যে মন্তব্য করেননি।
অনুষ্ঠান শেষে সৌমেনবাবুর অবশ্য দাবি, “জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি নিয়ে আমার কিছু কথা ছিল যা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ না হলেই ভাল। সেজন্যই সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের ওখান থেকে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলাম।” বিষয়টি নিয়ে তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি। স্বাস্থ্য দফতরের ২০১৩ সালের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতিতে বিধায়ককে রাখার বিষয় নেই। উনি রাজ্য সরকারের মন্ত্রী হিসেবে স্বাস্থ্য দফতরের কাছে এ নিয়ে খোঁজ নেওয়ার পরে এ বিষয়ে মন্তব্য করলে ভাল হত।” তমলুক ছাড়াও এ দিন মুখ্যমন্ত্রী দক্ষিণেশ্বর থেকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট (এইচডিএউ)-এর উদ্বোধন করেন। ছিলেন রাজ্যের পরিবেশ দফতরের মন্ত্রী সুদর্শন ঘোষদস্তিদার, হলদিয়ার মহকুমাশাসক শঙ্কর নস্কর প্রমুখ।