Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
মশা দমনে বেআব্রু পুরসভা

অভিযানে নয়ানজুলিতে মিলল লার্ভা

স্বাস্থ্য দফতরের আচমকা অভিযান। তাতেই বেরিয়ে পড়ল মশা ঠেকাতে ঘাটাল পুরসভার বেআব্রু অবস্থা।রবিবার ১ মে ছুটির দিন থাকলেও মশা দমনে পুরসভা কেমন কাজ করছে তা জানাতে অভিযানে নেমেছিলেন ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের সুপার তথা সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কুণাল মুখোপাধ্যায়।

খোঁজ: মঙ্গলবার নিজস্ব চিত্র

খোঁজ: মঙ্গলবার নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘাটাল ও ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৭ ০১:১৯
Share: Save:

স্বাস্থ্য দফতরের আচমকা অভিযান। তাতেই বেরিয়ে পড়ল মশা ঠেকাতে ঘাটাল পুরসভার বেআব্রু অবস্থা।

রবিবার ১ মে ছুটির দিন থাকলেও মশা দমনে পুরসভা কেমন কাজ করছে তা জানাতে অভিযানে নেমেছিলেন ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের সুপার তথা সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কুণাল মুখোপাধ্যায়। শহরের বিবেকানন্দ পল্লির একটি নয়ানজুলির জমা জল সংগ্রহ করেন তাঁরা। সেই জলে কিউলেক্স মশার লার্ভা পাওয়ায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তরা। আর তা এতটাই যে সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকে বলতে শোনা যায়, ‘এ তো কিউলেক্স মশার লার্ভা। কামড়ালে জাপানি এনসেফ্যালাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল’।

গত বছর রাজ্য জুড়ে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন বহু মানুষ। তাই এ বার আগেভাগেই সমস্ত পুরসভাকে সচেষ্টা থাকতে নবান্ন থেকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছিল। চলতি বছরের গোড়াতেই পশ্চিম মেদিনীপুরের সব পুরসভাতেই সরকারি ওই নির্দেশ এসে পৌঁছয়। এমনকী এর জন্য বাড়তি বরাদ্দও করে সরকার। কিন্তু তিন মাস পরেও যে পশ্চিম মেদিনীপুরের অবস্থার খুব একটা উন্নতি হয়নি সোমবারের অভিযানেই তার প্রমাণ মিলেছে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, নিকাশি নালাগুলিতে মশানাশক তেল স্প্রে এবং মাঝে মধ্যেই ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়েই দায় সেরেছে পুরসভা।

ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান বিভাস ঘোষের অবশ্য দাবি, ‘এত অল্প সময়ে তো শহর থেকে মশা তাড়ানো সম্ভব নয়। স্প্রে করার পাশাপাশি নিকাশি নালাগুলিও সংস্কার করা হবে। তবে বাসিন্দাদের সহযোগিতাও জরুরি’।

সোমবার ছুটির দিনে শহরে মশা নিধনের কাজে নেমেছিলেন ঝাড়গ্রাম পুরসভা ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারাও। প্রথম দিন আঠারোটি ওয়ার্ডে মশানাশক তেল স্প্রে করা হয়েছে। ৫১টি বাড়িতে জমা জলে মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছে। পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেব বলেন, ‘ছুটির দিনেও আমাদের লোকেরা যু্দ্ধকালীন ভিত্তিতে কাজ করেছে। ১২ জনকে পাওয়া গিয়েছে যাদের জ্বর আছে। আমরা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছি’। ঝাড়গ্রাম জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশ্বিনী মাজি বলেন, ‘জ্বরে আক্রান্তদের রক্তের নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। রিপোর্ট পেলে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mosquito Drain Municipality
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE