সেজে উঠেছে হলদিয়ার মণ্ডপ। নিজস্ব চিত্র।
কোথাও বাবুইপাখির বাসা, কোথাও তালপাতার তৈরি নানা সামগ্রী, আবার কোথাও বা সবংয়ের মাদুরকাঠি। এমনই প্রাকৃতিক নানা উপাদানে সাজছে সুতাহাটা চৈতন্যপুরের পূজো মণ্ডপগুলি। রামধনু রঙের জেল্লায় কোথাও ফুটে উঠেছে হারানো শৈশব, কোথাও লুপ্তপ্রায় লোকশিল্প, কোথাও আবার জীব বৈচিত্র্য রক্ষার আবেদন করা হয়েছে বাহারি মণ্ডপসজ্জায়।
হলদিয়া শহরের থিমের পুজোকে টেক্কা দিতে বাস্তবিকই কোমর বেঁধে তৈরি হয়েছে গ্রামীণ হলদিয়ার পুজো কমিটিগুলি। শিল্পাঞ্চল লাগোয়া সুতাহাটা এবং হলদিয়ার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় থিমের পূজোর প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। শহরের পুজো কমিটি যখন আলো ও ধ্বনির কারুকাজে বাজিমাত করার চেষ্টা করছে তখন পাল্টা হিসাবে লুপ্তপ্রায় লোকশিল্পকে মণ্ডপসজ্জায় তুলে ধরার ওপর জোর দিয়েছে গ্রামীণ সুতাহাটা। বিভিন্ন আর্ট কলেজের ছাত্রদের হাতে তৈরি হচ্ছে আকর্ষণীয় সব মণ্ডপ।
মাদুর কাঠি ও সানপ্যাকের ওপর সৃষ্টি হয়েছে অ্যানিমেশন ধর্মী এবং বিমূর্ত ভাবনার নানা ছবি। এই ছবিগুলির মাধ্যমে শৈশবের পূজোর আনন্দের দিনগুলি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নবতারা দুর্গোৎসব কমিটির মণ্ডপে গেলে মনে হবে ছবি কথা বলছে। এবার চৈতন্যপুরের পূজোয় নজর কাড়বে ৬০ ফুট উঁচু ময়ূর মণ্ডপ তৈরি করেছে নিউ স্টার দুর্গোৎসব কমিটি। প্রতিমা তৈরি হয়েছে রাজস্থানি আদলে।
সুতাহাটার অন্যতম পুজো চৈতন্যপুরে। একই জায়গায় এক সঙ্গে পাঁচ সাতটি থিম নির্ভর পুজো মণ্ডপ হলদিয়ায় আর কোথাও হয় না। যুগের যাত্রী ক্লাব তালপাতা নির্ভর লোকশিল্পকে তুলে ধরছে। কয়েকশো বাবুইপাখির বাসা ব্যবহার করা হচ্ছে মণ্ডপ অলঙ্করণে। নবতারা ক্লাব নতুন আঙ্গিকে মণ্ডপ গড়ে দর্শনার্থীদের মন ভরাতে প্রস্তুত। তাদের মণ্ডপসজ্জার থিম রামধনু রঙে দেবী বন্দনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy