জনধন প্রকল্পের উপভোক্তাদের ‘রুপে’ কার্ড বিলি শুরু হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরেও। কেন্দ্রীয় এই প্রকল্পে ইতিমধ্যেই জেলায় প্রচুর মানুষ ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। এ বার তাঁদেরই রুপে কার্ড দেওয়া শুরু হল। ‘রুপে’ কার্ড কী? এই কার্ড এটিএম কার্ডের মতই। টাকা তুলতে এটি এটিএম কার্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। তাছাড়া কোনও ভিসা বা মাস্টার কার্ডে যে সব সুবিধা পাওয়া যায়, এই কার্ডেও তার সবই মিলবে। থাকছে এক লক্ষ টাকার দুর্ঘটনা বিমার সুবিধাও। অর্থাৎ, এই বিমার জন্য উপভোক্তাকে আলাদা করে কোনও প্রিমিয়াম গুনতে হবে না। জেলার এক ব্যাঙ্ক কর্তা বলেন, “রুপে কার্ডের অনেক সুবিধে। শুধু দুর্ঘটনা বিমা নয়, সঙ্গে ডেবিট কার্ড, ছোট অঙ্কের ঋণ ইত্যাদি সুবিধাও মেলে।” জেলার লিড ডিস্ট্রিক্ট ব্যাঙ্ক ম্যানেজার (এলডিএম) শক্তিপদ পড়্যা বলেন, “পশ্চিম মেদিনীপুরে ইতিমধ্যে ‘রুপে’ ক্রেডিট কার্ড পরিষেবা চালু হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় কার্ড বিলি চলছে।”
বর্তমানে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের টাকাও উপভোক্তারা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পান। আবার, একশো দিনের কাজ প্রকল্পের মজুরিও ব্যাঙ্কের মাধ্যমে মেলে। মজুরির টাকা শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়। ‘ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশেন প্রোগ্রাম’ কর্মসূচি সব গ্রামে পৌঁছলে গরিব মানুষের সুবিধে হবে বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল। একশো দিনের কাজ প্রকল্পের মজুরির টাকা পেতে তাঁদের আর সমস্যায় পড়তে হবে না। শ্রমিকেরা গ্রামের ‘কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট’ থেকেই টাকা তুলতে পারবেন। জেলার এক ব্যাঙ্ক কর্তার কথায়, “এই কর্মসূচি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এরফলে, প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ উপকৃত হবেন। তাঁরা গ্রামেই ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পাবেন। অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারবেন, জমাও দিতে পারবেন। আর ব্যাঙ্কে আসতে হবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy