গত ২২অক্টোবর পাঁশকুড়া স্টেশনের বাইরে একই লাইনে চলে এসেছিল দু’টি লোকাল ট্রেন। একটি ট্রেন ধাক্কা মেরেছিল অন্যটিকে। বড়সড় দুর্ঘটনা না হলেও ছড়িয়েছিল আতঙ্ক।
হাওড়া থেকে খড়্গপুর আসার পথে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছেও লোকাল ট্রেনের জকপুর স্টেশনে অন্তত পনেরো মিনিট দাঁড়িয়ে যাওয়ার ঘটনাও প্রায় রোজ ঘটে। খড়্গপুরের কোন প্ল্যাটফর্মে ট্রেনটিকে দেওয়া হবে, সেই জটে ভুগতে হয় যাত্রীদের।
এই সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খড়্গপুরে নতুন ‘রুট রিলে ইন্টারলক’ প্রযুক্তি বসানো হচ্ছে। এই ব্যবস্থা পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয়। শুক্রবার খড়্গপুর রেল ডিভিশনের তরফে সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়েছে, আগের ‘রিলে রুট ইন্টারলক’ ব্যবস্থা বদলে চালু হচ্ছে এই ‘ইলেক্ট্রনিক্স রুট ইন্টারলক’ ব্যবস্থা। এর জন্য আজ, শনিবার থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত জোর কদমে কাজ করবে রেল। ফলে, ওই সময় খড়্গপুর শাখায় ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হবে। আর ১৯ নভেম্বর ১২ ঘন্টার জন্য খড়্গপুর শাখায় কোনও ট্রেন চলবে না। ডিআরএম কে রবিনকুমার রেড্ডি এ দিন বলেন, “এই ব্যবস্থা চালু হলে ট্রেনের গতি যেমন বাড়বে, তেমনই সিগন্যাল ব্যবস্থা উন্নত হবে।”
প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যায়ে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা গড়ে তুলছে খড়্গপুর রেল। এতে সব সিগন্যাল ও জংশন পয়েন্টকে এক ছাদের তলায় আনা হচ্ছে। এতে ৮৫০টি রুট ব্যবহারের সুযোগ পাবে খড়্গপুর। এ জন্য খড়্গপুর স্টেশনের বাইরে আলাদা ভবন গড়ে তোলা হয়েছে। সম্পূর্ণ কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এই ইন্টারলকিং ব্যবস্থায় নিমেষে পরিবর্তিত হবে লাইন। সেই সঙ্গে তিন বছর ধরে চালু না হওয়া ৭, ৮নম্বর প্ল্যাটফর্ম ও গিরিময়দান-খড়্গপুর ডবল লাইনও চালু হবে।
অবশ্য তার আগে ১৬দিন ভোগান্তি পোহাতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy