Advertisement
E-Paper

মা-শিশুর পুষ্টিতে কোপ

এ দিনের প্রতিবাদের নেতৃত্বে ছিলেন ভগবানপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা সুব্রত মহাপাত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৭ ০১:২৯
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

চাল নেই বেশির ভাগ কেন্দ্রে। যেখানে চাল আছে, সেখানে আবার ডাল নেই! এমনই অভিযোগে মঙ্গলবার ভগবানপুর ব্লকের শিশু উন্নয়ন আধিকারিক আরতি সিংহের কাছে স্মারকলিপি দিল ‘পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য আইসিডিএস কর্মী সমিতি’র ভগবানপুর-১ ব্লক কমিটির প্রতিনিধিরা। তাঁদের দাবি, ব্লকের ২৮৬টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মধ্যে ১৫৩টি কেন্দ্রেই গত একমাস চাল নেই। এর ফলে শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের পুষ্টি প্রকল্প ব্যাহত হচ্ছে।

এ দিনের প্রতিবাদের নেতৃত্বে ছিলেন ভগবানপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা সুব্রত মহাপাত্র। তাঁর কথায়, “অনিয়ম করছে কেন্দ্রীয় সরকারের চাল সরবরাহকারী সংস্থা ‘ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া’। নিয়ম অনুযায়ী, কেন্দ্রগুলিতে তিন মাস অন্তর, তিন মাসের জন্য চাল সরবরাহ করার কথা। কিন্তু তারা তিন মাস অন্তর, দু’মাসের জন্য চাল সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ। ফলে বাকি থাকছে এক মাসের চাল। এই কেন্দ্রগুলিতে ডাল সরবরাহ করে বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদাররা। অনিয়মের জন্য কেন্দ্রগুলিতে ডালও নেই বলে অভিযোগ।”

তবে এখন চাল-ডাল ছাড়িয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে আনাজ, ডিম নিয়েও। অভিযোগ, এই ব্লকের বহু কেন্দ্রেই এই খাদ্যসামগ্রী ঠিক মতো পৌঁছচ্ছে না বলে অভিযোগ কমিটির। তাদের দাবি, প্রতি জোড়া ডিমের জন্য কেন্দ্রপিছু বরাদ্দ থাকে সাড়ে চার টাকা। কিন্তু এখন বাজারে ডিমের জোড়া বারো টাকা। ফলে বহু কেন্দ্রের কর্মীই আনাজের জন্য বরাদ্দ টাকা থেকে কেটে নিয়ে তা ডিমের পিছনে ব্যয় করছেন। ফলে আনাজের ক্ষেত্রে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। আবার কিছু কেন্দ্রে ধারেই কেনা হচ্ছে আনাজ, ডিম। এর ফলে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সঙ্গে গোলমাল বাধছে অভিভাবকদের।

মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীরা জানান, এই ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন মাসের ১৫ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে। গত ছ’মাস ধরে চলছে এমনই অবস্থা। এক দিকে পুষ্টি প্রকল্প বেহাল, অন্য দিকে দেরিতে বেতন দেরিতে পাওয়া— সব নিয়ে তাঁরা বিপাকে পড়েছেন বলে অভিযোগ কর্মীদের।

এই বিষয়ে অভিযোগ আরতিদেবী বলেন, “প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আমরা দু’মাসের চাল চাই। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের জন্য যে চাহিদার কথা বলা হয়েছিল, সেই চাল এখনও আসেনি। সে কারণেই অনেক কেন্দ্রে চাল নেই। তা ছাড়া, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বেতনের জন্য যথাসময়ে আমরা বিল বানিয়ে পাঠাই। কিন্তু বাকিটা আমার হাতে নেই।” ভগবানপুর-১ বিডিও পরিতোষ মজুমদার বলেন, “বিষয়টি জানি না। দফতরের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করছি। তার পরে এ নিয়ে বলতে পারব।”

Malnutrition ICDS আইসিডিএস
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy