রবিবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম শহরের উপকন্ঠে রাজডিহি গ্রামের লাগোয়া আমবাগানে হাতি তাড়াতে গিয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম মনোরঞ্জন মাহাতো (৭০)। তাঁর বাড়ি ঝাড়গ্রাম থানার বাঁধগোড়া অঞ্চলের কাঞ্চননগর গ্রামে।
বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন ভোরে একটি শাবক-সহ পাঁচটি হাতির দল চাঁদড়ার দিক থেকে কংসাবতী নদী পেরিয়ে ঝাড়গ্রামের ধবনি বিটের জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। আশেপাশের ধবনি, অর্জুনডহর, রাজডিহি, কাঞ্চন নগরের মতো বিভিন্ন গ্রামের উৎসাহী মানুষজন হাতি দেখতে ভিড় করেন। হাতিগুলি যাতে লোকালয়ে ঢুকতে না পারে, সেজন্য খেদাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই দলে মনোরঞ্জনবাবুও ছিলেন। স্থানীয় আমবাগানে হাতি তাড়াতে গিয়ে একটি হাতির সামনে পড়ে যায় তিনি। ছুটে পালনোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাতিটি মনোরঞ্জনবাবুকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে তুলে মাটিতে আছড়ে তারপর পায়ে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান
ওই বৃদ্ধ।
২০১০ সালে জঙ্গলমহলের অশান্তিপর্বের সময় মনোরঞ্জনবাবুর স্ত্রীকে পুলিশের চর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করেছিল মাওবাদীরা। মনোরঞ্জনবাবুর ছেলে সিআরপি-র কর্মী। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দলমার দলছুট এই হাতিগুলি পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন বনবিভাগ এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। চাঁদড়ার দিক থেকে তাড়া খেয়ে হাতিগুলি ঝাড়গ্রাম শহরের উপকন্ঠের জঙ্গলে ঢুকে পড়েছিল। হাতিগুলি ঝাড়গ্রাম শহরের খুব কাছে চলে আসার খবরে শহরবাসীর মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যে নাগাদ বনকর্মী ও হুলাপার্টির লোকজন হাতিগুলিকে বৈতার দিকে খেদিয়ে নিয়ে যান।
ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ এস হোলেইচ্চি বলেন, “মৃতের পরিবারকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। হাতিগুলিকে অন্যত্র তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার
চেষ্টা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy