E-Paper

বিধায়ক-পদ ছাড়তে চান ‘নন্দীগ্রামের মা’

জমি আন্দোলনে উত্তাল নন্দীগ্রামের আন্দোলনে ছেলে ইমদাদুলকে হারিয়েছিলেন ফিরোজা। তার আগে থেকেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় আন্দোলনের প্রতিনিধি হিসেবে ২০০৯ সালে ওই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রবিশঙ্কর দত্ত

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:০৩

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

নন্দীগ্রাম আন্দোলনের অন্যতম মুখ, ‘শহিদের মা’ ফিরোজা বিবি রাজনীতি থেকে দূরে সরতে চাইছেন। সেই সূত্রে বিধায়ক-পদও ছাড়তে চেয়েছেন তিনি। দলের ‘ব্যবহার’ নিয়ে অসন্তুষ্ট ফিরোজা প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে সরে যেতে চান।

জমি আন্দোলনে উত্তাল নন্দীগ্রামের আন্দোলনে ছেলে ইমদাদুলকে হারিয়েছিলেন ফিরোজা। তার আগে থেকেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় আন্দোলনের প্রতিনিধি হিসেবে ২০০৯ সালে ওই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত নন্দীগ্রামের বিধায়ক ছিলেন তিনি। তার পরে কেন্দ্র বদল করে তাঁকে পাঁশকুড়া (পশ্চিম)-এর প্রার্থী করা হয়েছিল। সেই তিনিই নানা কারণে বিরক্ত হয়ে এ বার রাজনীতির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে চাইছেন। সূত্রের খবর, সেই ইচ্ছার কথা জানাতে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। তবে তাঁদের মধ্যে আলোচনার পরে ফিরোজার মতবদল হয়েছে বলে জানা যায়নি।

এ রাজ্যে তৃণমূলের ‘জয়যাত্রা’য় নন্দীগ্রামের ভূমিকা বিশেষ। সেখানকার রাজনীতি থেকে বিধানসভায় আসা ফিরোজার এই মনোভাব শাসক দলের জন্য চূড়ান্ত ‘অস্বস্তি’র। তৃণমূলের ইচ্ছায় ২০১৬ সালে নন্দীগ্রাম আসন থেকে সরতে হয়েছিল তাঁকে। ওই সময়ে ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হন শুভেন্দু অধিকারী। তখন থেকে ফিরোজা পাঁশকুড়া (পশ্চিম)-এর বিধায়ক।

বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে বেশ কিছু দিন হল রাজনীতিতে সক্রিয়তা কমেছে ফিরোজার। হুইল চেয়ারে বিধানসভার গত অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন তিনি। সেই সময়েই মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা হয়নি। এ বারের বিশেষ অধিবেশন মিটে যাওয়ার কয়েক দিন পরে বিধানসভায় এসে সরকারি মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের সঙ্গে দেখা করে তিনি পদত্যাগের ইচ্ছারকথা জানিয়েছেন।

প্রাথমিক ভাবে তাঁকে বুঝিয়ে নিরস্ত করার চেষ্টা হয়। ফিরোজা অবশ্য সেখান থেকে চলে যান স্পিকারের ঘরে। সেখানেও তিনি পদত্যাগের ইচ্ছাই প্রকাশ করেছেন বলে একটি সূত্রের খবর। বিধায়কের সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়েও স্পিকার অবশ্য পদত্যাগ নিয়ে আলোচনার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তবে সূত্রের খবর, পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিধায়ককে তিনি আরওভাবতে বলেছেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Nandigram nandigram incident West Bengal Politics

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy