ঝাড়গ্রাম-বিনপুর রাজ্য সড়কের দু’ধার পরিষ্কারের কাজ চলছে।
চার বছর পর বেলপাহাড়িতে প্রশাসনিক সভা করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এবার কপ্টারে চেপে বেলপাহাড়ির সাহাড়ি মাঠে আসবেন তিনি। আবার সভা শেষে কপ্টারে চেপেই ঝাড়গ্রামে যাবেন। রাতে রাজবাড়ি টুরিস্ট কমপ্লেক্সে থাকবেন। মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টারে যাতায়াত নিয়ে প্রশ্ন তুলতে ছাড়ছে না বিরোধীরা।
সোমবার দুপুরে বেলপাহাড়ি ও ঝাড়গ্রামে কপ্টারের মহড়া হয়েছে। ২০১৮ সালে বেলপাহাড়িতে শেষ প্রশাসনিক সভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সভা হয়েছিল হাইস্কুল মাঠে। সেবার সভামঞ্চে কপ্টারেই এসেছিলেন তিনি। তবে সভা শেষে সড়ক পথে ঝাড়গ্রাম গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেবারও রাতে রাজবাড়ি টুরিস্ট কমপ্লেক্সে ছিলেন তিনি। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, এবার মুখ্যমন্ত্রী কপ্টারে যাতায়াত করবেন ঠিক থাকলেও সড়ক পথেও সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া থাকছে। সভা থেকে ঝাড়গ্রামে তিনি সড়ক পথেও আসতে পারেন। সোমবার ঝাড়গ্রামের ৫ নম্বর রাজ্য সড়কের দু’পাশের ঝোপ সাফাই করা হয়।
এবার মুখ্যমন্ত্রী কেন সড়কপথ ব্যবহার করবেন না, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, একে রাস্তা খারাপ, তার উপরে বিভিন্ন পরিষেবা নিয়ে মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। সেই প্রশ্ন এড়াতেই এবার পুরো সফরেই কপ্টারে যাতায়াত করবেন তিনি। জেলা বিজেপির সহ সভাপতি দেবাশিস কুণ্ডুর দাবি, ‘‘গত ১১ বছর ধরে আদিবাসী ভাই-বোনদের লাঞ্চনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সড়কপথে এলে তাঁকে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে। সেই ভয়েই এবার কপ্টারে ঝাড়গ্রাম আসবেন তিনি। তাছাড়া রাস্তাও খারাপ। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। সেটাও হয়তো একটা কারণ।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক প্রদীপকুমার সরকার বলেন, ‘‘জেলার সর্বত্রই তো রাস্তা খারাপ। বেলপাহাড়ি যাওয়ার রাস্তাও খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে রাস্তায় তাপ্পি মারা চলছে। মানুষের ক্ষোভ এড়ানোর জন্যই কপ্টারে ঝাড়গ্রাম আসবেন মুখ্যমন্ত্রী।’’
তৃণমূল অবশ্য বিরোধীদের অভিযোগ মানতে নারাজ। জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মুর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে আসবেন সেটা তাঁর নিজস্ব ব্যাপার। তবে আমরা সব দিক থেকে প্রস্তুত। জঙ্গলমহলে এত উন্নয়ন হয়েছে। সে কথা বিরোধীদের মুখে কোনওদিন শোনা গেল না। ওদের কাজ শুধু কুৎসা করা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy