থমকে মাধাখালি সেতুর কাজ। — নিজস্ব চিত্র।
তিন বছরেও সম্পূর্ণ হল না ভগবানপুর-২ ব্লকের মাধাখালি সেতুর কাজ। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুরনো মাধাখালি সেতুর জীর্ণ দশা। ২০১৪ সালের মার্চ মাসে নতুন সেতুর কাজের শিলান্যাস করেন সাংসদ শিশির অধিকারী। পুরনো সেতুর পাশেই ৫৫ মিটার দীর্ঘ নতুন সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়। যদিও নতুন সেতু কবে চালু হবে, সেটাই প্রশ্ন এলাকাবাসীর।
খেজুরি থানার হেঁড়িয়া থেকে ভুপতিনগর থানার ইটাবেড়িয়া পর্যন্ত রাস্তায় মাধাখালি সেতু কাঁথি ও এগরা মহকুমার মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জীর্ণ হয়ে পড়ায় ২০১৪ সালে ওই সেতু দিয়ে তিন টনের বেশি ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভগবানপুর-২ ব্লক প্রশাসন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেতুর কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারের ঢিলেমির জন্য তিন বছরেও শেষ করা যায়নি। প্রতিদিন মাধাখালি সেতু দিয়ে কয়েক হাজার লোক যাতায়াত করেন। পুরনো সেতু দিয়ে ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েন অনেকে। নতুন সেতুও চালু না হওয়ায় ভোগান্তি চলছেই।
স্কুল শিক্ষক রঞ্জন সরকার, সমবায় ব্যাঙ্ককর্মী সঞ্জীব সাহাদের কথায়, “মাধাখালি সেতু দিয়ে বাস চলাচল বন্ধ। কাঁথি বা হাওড়া থেকে বাস মাধাখালি সেতু পর্যন্ত আসে। সেখান থেকে হেঁটে সেতু পেরিয়ে সুশীলা মোড় পর্যন্ত এসে ফের গন্তব্যে যাওয়ার বাস বা ট্রেকার ধরতে হয়। এতে সময় ও যাতায়াতের খরচ দু’টোই বেশি লাগছে।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের সমস্যার কথা মানছেন ভগবানপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কমাধ্যক্ষ অশ্বিনী খাটুয়া। তিনি বলেন, “মাধাখালি সেতু নির্মাণের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার সংস্থার ঢিলেমির জন্যই নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা যায়নি। ইতিমধ্যেই ওই ঠিকাদার সংস্থার বরাত বাতিল করা হয়েছে। ফের নতুন করে সেতু নির্মাণের টেন্ডার ডাকা হয়েছে।”
বিডিও বিশ্বজিৎ মজুমদার জানান, সেতুর কাজ শেষ করার জন্য নতুন করে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলেই সেতুর কাজ শুরু হবে। সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করার আশ্বাস দিচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতিও।
কবে নতুন সেতু চালু হয়, লেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy