Advertisement
E-Paper

উৎসবে সম্মান বনরক্ষীদের

লালগড়ে বনবান্ধব উৎসবে ১২ জন বনরক্ষীকে সম্মানিত করা হল রবিবার। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাঘ বিশেষজ্ঞ তথা বন্যপ্রাণ রক্ষায় কাজ করা সংস্থা ‘শের’-এর কর্ণধার জয়দীপ কুণ্ডু।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:২২
বনবান্ধব উৎসব।  নিজস্ব চিত্র।

বনবান্ধব উৎসব। নিজস্ব চিত্র।

লালগড়ে বনবান্ধব উৎসবে ১২ জন বনরক্ষীকে সম্মানিত করা হল রবিবার। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাঘ বিশেষজ্ঞ তথা বন্যপ্রাণ রক্ষায় কাজ করা সংস্থা ‘শের’-এর কর্ণধার জয়দীপ কুণ্ডু। ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক অরিন্দম নিয়োগী, ডিএফও অর্ণব সেনগুপ্ত, অভিনেতা তথা চলচ্চিত্র পরিচালক অরিন্দম শীল প্রমুখ।

হাতি ও মানুষের সংঘাত ঠেকানোর কাজে বিশেষ পারদর্শিতার জন্য ১২ জন বনরক্ষীকে ওই অনুষ্ঠানে সম্মানিত করা হয়। রক্ষীদের হাতে ‘ওয়াটার পিউরিফায়ার’ তুলে দেন অরিন্দম শীল। দক্ষিণবঙ্গে বন দফতরের অন্তর্গত সাতটি ডিভিশনে হাতি ও মানুষের সংঘাত ঠেকাতে সচেতনতা বাড়াতেই এই উদ্যোগ।

মেদিনীপুরের দুই কিশোর বাসুদেব তুড়কালি ও সৌরভ ভুঁইয়াকেও এ দিনের অনুষ্ঠানে ‘বন বান্ধব পুরস্কার’ দেওয়া হয়। অতিরিক্ত জেলাশাসক অরিন্দমবাবু ও ডিএফও অর্ণববাবু তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। বাসুদেব দ্বাদশ ও সৌরভ নবম শ্রেণির ছাত্র। মেদিনীপুরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, ‘‘এই দুই ছাত্রের দায়িত্ববোধ সতিই প্রশংসনীয়। বন্যপ্রাণ বাঁচাতে এ ভাবেই সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।’’ গত ১৭ জানুয়ারি মেদিনীপুর শহরে কলেজ মাঠে ঘুড়ির মাঞ্জায় ডানা কেটে জখম একটি চিলকে মাঠে পড়ে ছটফট করতে দেখে বাসুদেব ও সৌরভ। তারা পাখিটি উদ্ধার করে পশু হাসপাতালে নিয়ে যায়। সন্ধে হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বাড়ি নিয়ে এসে শুশ্রূষা করলেও শে চিলটি মারা যায়। এই দুই ছাত্রের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায় বন দফতর। পুরস্কার পেয়ে খুশি বাসুদেব, সৌরভ বলছে, ‘‘এত বড় মঞ্চে সম্মানিত হয়ে ভাল লাগছে। আমাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল।’’

Festival Forest Department
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy