Advertisement
E-Paper

দল ভাঙানোর অভিযোগ, থানা ঘেরাও বিজেপির

নয়নেরও দাবি, “দলের কর্মীদের নানা ভাবে হেনস্তা করছে পুলিশ।” বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশও বলেন, “তৃণমূল দলের জেতা প্রার্থীদের কেনার চেষ্টা করছে। পুলিশ তৃণমূলকে মদত করছে। তৃণমূলের অনেক খিদে! সব খেতে চায়! আমরা সতর্ক আছি।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৮ ০৩:১২
থানা ঘেরাও বিজেপির। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

থানা ঘেরাও বিজেপির। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

শাসক দলের হয়ে পুলিশই দল ভাঙাতে চাইছে। এই অভিযোগে সরব হল বিজেপি। সোমবার মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপাল থানার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিও করেছে তারা। বিজেপির অভিযোগ, দলের জয়ী প্রার্থীদের হুমকি দিচ্ছে পুলিশ। ভয় দেখাচ্ছে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোরও হুমকি দিচ্ছে। বিজেপির অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ভিত্তিহীন।” একই মত শাসক দলেরও। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “বিজেপি কুত্সা আর অপপ্রচার করছে।”

সোমবার সকালে গুড়গুড়িপাল থানার সামনে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়। ছিলেন দলের জেলা নেতা শিবু পানিগ্রাহী, অরূপ দাস, স্থানীয় নেতা নয়ন দে প্রমুখ। শিবু বলেন, “দলের জয়ী প্রার্থীদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। গুড়গুড়িপাল থানার ওসি পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। উনিও বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের হুমকি দিচ্ছেন। ভয় দেখাচ্ছেন।” নয়ন এ বার চাঁদড়া থেকে পঞ্চায়েত সমিতির এক আসনে জিতেছেন। এক সময় তৃণমূলই করতেন। পরে বিজেপিতে যোগ দেন। নয়নেরও দাবি, “দলের কর্মীদের নানা ভাবে হেনস্তা করছে পুলিশ।” বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশও বলেন, “তৃণমূল দলের জেতা প্রার্থীদের কেনার চেষ্টা করছে। পুলিশ তৃণমূলকে মদত করছে। তৃণমূলের অনেক খিদে! সব খেতে চায়! আমরা সতর্ক আছি।”

পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলে তৃণমূলের ভাল ফল হয়নি। বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েত দলের হাতছাড়া হয়েছে। এরমধ্যে চাঁদড়া অন্যতম। চাঁদড়া পঞ্চায়েতের দখল নিয়েছে বিজেপি। চাঁদড়ায় পঞ্চায়েতের ১৪টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৮টি, তৃণমূল ৬টি। পাশের ধেড়ুয়া আর মণিদহেও সেয়ানে-সেয়ানে টক্কর হয়েছে। ধেড়ুয়া পঞ্চায়েতের ৮টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ৪টি, বিজেপি ৪টি। অর্থাৎ, এই পঞ্চায়েতে টাই হয়েছে। মণিদহে ১৩টি আসনের মধ্যে ৭টি পেয়েছে তৃণমূল, ৬টি বিজেপি। চাঁদড়া সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের ২১টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছে বিজেপি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিতবাবু অবশ্য ঘোষণা করেছেন, “সংরক্ষণের কারণে ওই ২১টির মধ্যে ৫-৬টিতে তৃণমূলের প্রধান হবে। বাকি যেগুলো থাকছে, তারমধ্যেও কয়েকটি তৃণমূলের হবে।” কোন অঙ্কে? তৃণমূলের জেলা সভাপতির জবাব, “অনেকে দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।” এখানেই দল ভাঙানোর চেষ্টার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।

Surrounding Police Station BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy