সরকারি ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে হলদিয়া বন্দরে ৮০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হতে চলেছে। দীর্ঘদিন পর হলদিয়া বন্দরে এই বড় মাপের বিনিয়োগ ঘটছে। বন্দরের নতুন করে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্যই পিপিপি মডেলে চারটি বার্জ জেটি তৈরি করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের বার্জ জেটিগুলি বেশ বড় মাপের তৈরি করা হচ্ছে বলে খবর। এই জেটিগুলির মাধ্যমে বাল্ক জাতীয় এবং লিকুইড জাতীয় কার্গো পরিবহণ করা যাবে।
হলদিয়া বন্দর সূত্রে খবর, লকগেটের ওপর চাপ কমাতেই এই উদ্যোগ। বন্দরের লকগেট দুর্বল হয়ে পড়ায় এবং নাব্যতা সমস্যার জন্য বার্জ জেটি তৈরি হচ্ছে। আউটার টার্মিনাল-১ ও আউটার টার্মিনাল-২ তৈরি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বার্জ জেটি আর ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে স্বয়ংক্রিয় ফ্লোটিং ক্রেন তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়ার পর দক্ষিণ ভারতের বোথরা শিপিং এজেন্সি বরাত পেয়েছে।
হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) অমল দত্ত জানান, হলদিয়া বন্দরের পাশেই হলদি নদী ও হুগলী নদীর পাড় বরাবর নতুন চারটি বার্জ জেটি তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে। এগুলিকেই বলা হচ্ছে আউটার টার্মিনাল। ৪১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সবচেয়ে বড় আউটার টার্মিনাল তৈরি হতে চলেছে। এই টার্মিনালটি তৈরি হবে হলদিয়া ভবনের ঠিক বিপরীতে। পাশাপাশি শালুকখালিতে ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে লিকুইড কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ের বার্জ তৈরি হচ্ছে। ৪১৩ কোটি টাকার আউটার টার্মিনালের কাজ পেতে টেন্ডারে যোগ দিয়েছে দু’টি গোষ্ঠী।
জানা গিয়েছে, হলদিয়া বন্দরের লকগেট ৩০ বছরের পুরনো। তাই সারাদিনে ৭টি থেকে ৮টি জাহাজের বেশি যাতায়াত করানো যায় না। ফলে বন্দরে বেশি জাহাজ যাতায়াত করাতে সমস্যা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই কার্গোর পরিমাণও কমছে। আবার নাব্যতা সমস্যার কারণে ২০ থেকে ২২ হাজার টনের বেশি জাহাজ হলদিয়া বন্দরে ঢুকতে পারে না। এই কারণে জাহাজের সংখ্যা বাড়িয়ে কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ের পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy